হার্ভার্ড অধ্যাপকসহ যুক্তরাষ্ট্রে ৩ গবেষকের বিরুদ্ধে চীনকে সহযোগিতার অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক ও দুই গবেষকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে চীন সরকারকে সহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
অধ্যাপক চার্লস লিবার চীন সরকারের কাছ থেকে ১০ লাখ ডলারের বেশি অনুদান হিসেবে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়া তাঁর দুই গবেষণা সহযোগীর বিরুদ্ধে বিদেশি রাষ্ট্রের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তোলা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগকে ‘খুবই গুরুতর’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে অধ্যাপক লিবারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে অভিযোগনামায় বলা হয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লিবার রিসার্চ গ্রুপে’ গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট ও প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে দেড় কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অনুদান পাওয়া অধ্যাপক লিবার ২০১১ সালে চীনের উহান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন। হার্ভার্ডকে না জানিয়ে উহানের ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার করে নিতেন।
উহান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি খরচ করে অধ্যাপক লিবারের তত্ত্বাবধানে একটি গবেষণাগারও খোলা করা হয়।
এ ছাড়া ‘থাউজেন্ড ট্যালেন্ট প্ল্যানে’ জড়িত ছিলেন অধ্যাপক লিবার। বিদেশি মেধাবীদের গবেষণার সুযোগ দিতে আয়োজন করা এই প্রতিযোগিতা নিয়েও আপত্তি রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
অপর দুই অভিযুক্ত কারা
মার্কিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, চীনের সামরিক বাহিনীর পরিচয় গোপন করে শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হওয়ায় বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকবিদ্যার গবেষক ইয়াংকিং ইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় একই সঙ্গে এই নারী চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির হয়েও কাজ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে চীনা সেনাবাহিনীর দেওয়া বেশ কিছু অ্যাসাইনমেন্টও শেষ করেছেন তিনি।
এ ছাড়া বোস্টনে লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাগে ২১টি শারীরিক নমুনার বোতলসহ আটক হন চীনা ক্যানসার গবেষক জাওসং ঝেং। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে গবেষণা চালিয়ে যেতে এগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ।