শনিবার হচ্ছে না নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডের ফাঁসি
ফাঁসির কয়েক ঘণ্টা আগে স্থগিত হয়ে গেল মৃত্যুদণ্ডাদেশ। ভারতের আলোচিত নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসি কার্যকর অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে ফাঁসি পিছিয়ে গেল দ্বিতীয়বারের জন্য।
আসামিদের সামনে আইনি পথ খোলা থাকায় এদিন স্থগিত হয়ে গেল ফাঁসি। এদিন নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানাও জারি করেননি আদালত।
শনিবার সকাল ৬টায় নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল চার আসামির। আদালত পুনরায় কোনো রায় দেওয়া না পর্যন্ত স্থগিত থাকবে ফাঁসি। ফলে বিহারের তিহাড় জেলে কাল চার আসামির ফাঁসি হচ্ছে না। এদিন আদালতের রায় শোনার পর ভেঙে পড়েন নির্ভয়ার মা। একইসঙ্গে জানান, তাঁর লড়াই চলবে।
প্রসঙ্গত, ফাঁসির নির্দেশ কার্যকর করতে তিহাড় জেলে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ পৌঁছে গিয়েছিলেন তিহাড় জেলে। ফাঁসির দড়িতে মাখন ও কলা মাখানোর কাজও শেষ হয়ে গিয়েছিল। এর পাশাপাশি আজ দোষীদের সমান ওজনের পুতুল ফাঁসি দিয়ে মহড়া সেরে রাখারও কথা ছিল। কিন্তু শেষবেলায় পাতিয়ালা হাউজের রায়ে স্থগিত হয়ে গেল ফাঁসি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এক আসামি অক্ষয় ঠাকুরের ক্ষমাভিক্ষার আবেদন ফিরিয়ে দিলেও, নতুন করে এদিন নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে আরেক অভিযুক্ত পবন গুপ্তা। ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর ঘটনার সময় সে নাবালক ছিল। এই দাবিতে এদিন ফের সুপ্রিম কোর্টের কাছে নতুন করে দ্বারস্থ হয় পবন। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্ট।
এক ইস্যুতে বার বার আবেদন করা যাবে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত। এরপরই নতুন করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে আরেক আসামী বিনয় শর্মা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন ফাঁসির আদেশ স্থগিত হয়ে গেল পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে।
নিয়ম অনুযায়ী, আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই আবেদন খারিজ করে দিলেও, ফাঁসির আগে ১৪ দিন সময় পাবেন আসামী। এখন সংবিধান অনুসারে সেক্ষেত্রে ১৩তম দিনে অন্য কোনো আসামী ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করতে পারেন। উল্লেখ্য, নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে চার অভিযুক্তের ফাঁসির দিন প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছিল ২২ জানুয়ারি।