চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যখন মস্কোয়, তখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কিয়েভ গেলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এশিয়ায় কতটা পড়েছে তা এই দুই প্রতিবেশী দেশের শীর্ষনেতাদের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশে সফর থেকেই স্পষ্ট।

শি যখন পুটিনকে তার বন্ধু ও অংশীদার বলছেন, রাশিয়ার সঙ্গে একগুচ্ছ চুক্তি ও সমঝোতায় সই করছেন, তখন কিশিদা কিয়েভে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে বলছেন, ইউক্রেনের পুনর্গঠনে জাপান পাশে থাকবে।

কিশিদার এই সফর পূর্বঘোষিত ছিল না। তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবার যুদ্ধরত কোনো দেশে সফর করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কিয়েভে নামার সামান্য আগে জানানো হয়, কিশিদা ইউক্রেন সফরে গেছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণেই তারা এই ব্যবস্থা নিয়েছেন।

কিশিদা বুচায় গিয়েছেন। ইউক্রেনের এই শহরে রাশিয়ার সেনার হাতে কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিশিদা তাদের স্মরণে ফুলমালা দিয়েছেন এবং বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি যারপরনাই ক্ষুব্ধ।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের মানুষ যে সাহসের সঙ্গে দেশকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করছেন, জাপান তাকে সমর্থন করছে ও তাদের পাশে আছে।

কিশিদা ইউক্রেন সফরে যান, সেটা তার দলও চাইছিল। সপ্তাহখানেক আগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জাপানে শীর্ষবৈঠক করেছেন। এবার তিনি ইউক্রেন গেলেন। যুক্তরাষ্ট্রও তার এই সফরকে স্বাগত জানিয়েছে।