যুক্তরাষ্ট্রে দুই সপ্তাহে প্রায় এক লাখ শিশু করোনায় আক্রান্ত

যুক্তরাষ্ট্রের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস ভয়াবহ তথ্য দিয়েছে। গত ১৬ থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৯৭ হাজারের বেশি শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে শিশুদের সুস্থতার হার বেশি। জুলাইতে যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ জনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়।
সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৫০ লাখের মধ্যে তিন লাখ ৩৮ হাজারের বেশি শিশু।
কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে যখন শিশুদের স্কুলগুলো খুলে দেওয়া নিয়ে কথা চলছে, এমন সময় এই খবর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি ও অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে।
স্কুল এলাকায় করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ কেমন এবং স্কুল খোলার পর সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন হবে, তা মাথায় রাখতে হচ্ছে। যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেশি, সেখানে শিক্ষাগ্রহণ খুব ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানায়, প্রস্তাবিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে স্কুলে মাস্ক পরা এবং চলাচল সীমাবদ্ধ করা, যাতে বাচ্চারা সারা দিন একই ক্লাসরুমে থাকে। কয়েক ফুট দূরত্বে ডেস্ক স্থাপনেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অ্যাসেম্বলি, ক্যাফেটেরিয়া খাবার এবং অন্যান্য জমায়েত বাতিল করাও এটি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।
ইউনিসেফ ক্লাসের আকার ছোট করার জন্য স্কুলগুলোকে শিফটে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। প্রশাসকদের হ্যান্ড ওয়াশিং, শ্বাস প্রশ্বাসের নিয়ম (অর্থ্যাৎ কাশি এবং কনুইতে হাঁচি দেয়া), শারীরিক দূরত্বের ব্যবস্থা, সুবিধাগুলোর জন্য পরিষ্কার পদ্ধতি এবং নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুতের অনুশীলনসহ স্বাস্থ্যকর পদক্ষেপের উন্নতির সুযোগগুলো দেখার কথা বলেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু স্কুল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য ব্যক্তিগত ক্লাস এবং অনলাইন শিক্ষার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু, ইসরায়েলে ভাইরাসজনিত কার্যকলাপ কম থাকাকালীন যে স্কুলগুলো আবার চালু হয়েছিল, কয়েক সপ্তাহ পরে সেখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে করোনভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য ফেসবুক ও ইউটিউবে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।