যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ৫০ লাখের ৪০ ভাগই উপসর্গহীন
যুক্তরাষ্ট্রে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ৪০ ভাগই উপসর্গহীন। দেশটির সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, চারটি কারণে আক্রান্তরা উপসর্গহীন হচ্ছেন। প্রথমত, মেমোরি টি সেল, দ্বিতীয়ত, শৈশবে দেওয়া বিসিজি জাতীয় টিকা, তৃতীয়ত মাস্ক ব্যবহার এবং চতুর্থত, অ্যাজমা রোগ থাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, মোট আক্রান্তের ৫০ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ উপসর্গহীন। এর কারণ হিসেবে তারা জানায়, ভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের শরীরে তৈরি হচ্ছে মেমরি টি সেল। যার কারণে নভেল করোনাভাইরাসকে চেনা শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করছে মানবদেহ। আর এজন্যই রোগ প্রতিরোধে মানবদেহের জন্য লড়াইটাও সহজ হচ্ছে। একই কথা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ মনিকা গান্ধীও।
ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত স্বাস্থ্য বিষয়ক এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শৈশবে নেওয়া যক্ষ্মার টিকা বিসিজি, ঠাণ্ডাকাশির জন্য নিউমোনিয়ার টিকা বা হাম-রুবেলার টিকাও করোনা প্রতিরোধের ঢাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তৃতীয়ত, মাস্ক ব্যবহারের পরও কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয়, তবে তিনি উপসর্গহীন করোনা রোগী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ শিপে থাকা যাত্রীদের ২০ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হলেও, মাস্ক ব্যবহারকারীরা উপসর্গহীন ছিলেন। আর্জেন্টাইন ক্রুজ শিপের যাত্রীদের ক্ষেত্রেও এমনটা দেখা গেছে।
চতুর্থত, অ্যালার্জি বা অ্যাজমা রোগীরাও করোনা আক্রান্ত হলে উপসর্গহীন হচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে গবেষণার ফল বলছে, করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা অ্যাজমা রোগীদের মধ্যে বেশি বলে পরিলক্ষিত হয়েছে।
এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক দেশেই করোনা রোগী শনাক্তকরণে কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কুকুরেরা ঘ্রাণ শুঁকেই করোনা রোগী শনাক্ত করছে।