মাঝ আকাশে মন্ত্রীবাহী বিমানের কাচে ফাটল, দমদমে জরুরি অবতরণ

মাঝ আকাশে শিলাবৃষ্টির আঘাতে ভেঙে গেল বিমানের ককপিটের কাচ। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে চরম দুর্ঘটনা। এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিপদ বুঝে বিমানটি জরুরি অবতরণ করান পাইলট। তাতে প্রাণে বেঁচে যান অরূপ বিশ্বাসসহ ওই বিমানের ১৫০ যাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার দমদমে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি কলকাতা থেকে বাগডোগরা যাচ্ছিল। বিমানটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পরই শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। একপর্যায়ে শিলাবৃষ্টির আঘাতে বিমানের ককপিটের কাচে চিড় ধরে। পাইলট দ্রুত যোগাযোগ করেন কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে। সেখানে থেকেই বিমানটিকে জরুরি অবতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপরই বিমানটি অবতরণ করে এবং যাত্রীরা সুরক্ষিত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। এয়ার এশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই বিমানের সব আরোহী সুরক্ষিত রয়েছেন।
তৃণমূল সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এয়ার এশিয়ার বিমানে করে অরূপ বিশ্বাস উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিমানটি মাঝ আকাশে শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে। হঠাৎই পাইলট খেয়াল করেন, ককপিটের সামনের কাচে ফাটল ধরেছে। দেরি না করে বিমানচালক এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি অবতরণ করার অনুমতি চান। এটিসির সবুজ সংকেত মিলতেই পাইলট বিমানটি দমদম বিমানবন্দরে অবতরণ করান। পরে অন্য একটি বিমানে যাত্রীদের বাগডোগরা পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে স্পাইস জেটের মুম্বাই থেকে গুয়াহাটিগামী একটি বিমান। ওই দিন সকালে বিমান থেকে তেল চুইয়ে পড়ছে বলে অনুমান করেন বিমানটির দুই পাইলট। এরপরই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের বার্তা পাঠান তাঁরা। এরপর জরুরি অবতরণ করে বিমানটি।