বেলারুশে ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে বিক্ষোভ। ভোট চুরির অভিযোগে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে দেশটির হাজারো মানুষ। রোববার ছিল বিক্ষোভের ১৫তম দিন। এদিন রাজধানীর মিনস্কে জড়ো হয় দুই লাখের বেশি মানুষ। এদিকে ক্ষমতায় থাকার নিজের ‘অনমনীয় মনোভাব’ বিক্ষোভকারীদের দেখাতে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট গায়ে বন্দুক হাতে ছবির জন্য পোজ দিতে দেখা যায় রাশিয়াপন্থী এই বেলারুশ প্রেসিডেন্টকে।

আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, বিক্ষোভস্থলের অদূরে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে একটি সরকারি হেলিকপ্টার অবতরণ করে। পরে সেখান থেকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট গায়ে একটি বন্দুক হাতে লুকাশেঙ্কোকে নেমে আসতে দেখা যায়। টানা ২৬ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো।

গত ৯ আগস্ট বেলারুশে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, ৮০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে আবারও নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। আর তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সভেৎলানা তিখানোভস্কায়া পেয়েছেন মাত্র ১০.১২ শতাংশ ভোট।

ভোটের এই বিপুল ব্যবধান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বেলারুশের সাধারণ মানুষ। কারণ এর আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে পরাজিত প্রার্থী সভেৎলানা তিখানোভস্কায়ারও বিপুল জনসমর্থন রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল যেন ঠিক তার উল্টো।

স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের এমন অস্বাভাবিক ফলাফল মেনে নিতে নারাজ বেলারুশিয়ানরা। বিতর্কিত নির্বাচনকে ঘিরে বাড়তে শুরু করে গণঅসন্তোষ। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজধানী মিনস্কসহ দেশের বিভিন্ন শহরে চলতে থাকে বিক্ষোভ।

লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করছে বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে, বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ মোতায়েন করেন লুকাশেঙ্কো। পুলিশের লাঠিচার্জে এখন পর্যন্ত দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অসংখ্য। এ ছাড়া অসংখ্য বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।