পশ্চিমাদের রুখতে ঐক্যবদ্ধ চীন–রাশিয়া
ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো সরাসরি বৈঠক করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের সমরখন্দে বিশ্বের ক্ষমতাধর দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হয়। পশ্চিমাদের রুখতে কৌশলগত মিত্রতার ওপর জোর দেন তাঁরা।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে পুতিন ও জিনপিং গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। গোলটেবিল বৈঠকে দুদেশের অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
২০২০ সালের প্রথম দিকে সারা বিশ্বে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং কোনো বিদেশ সফরে যাননি। দুই বছরের বেশি সময় পর প্রথম বিদেশ সফরে গিয়ে তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করলেন।
বৈঠকটি এমন এক সময় হলো, যখন ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া এবং তাইওয়ান প্রণালিতে উত্তেজনা নিয়ে চীন পশ্চিমা দেশগুলোর চাপে রয়েছে।
বৈঠকে পুতিনকে জিনপিং বলেছেন, পরাশক্তির ভূমিকা গ্রহণের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক চীন। সামাজিক বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে নাড়িয়ে দেওয়া বিশ্বে স্থিতিশীলতা অর্জন ও ইতিবাচক শক্তি প্রয়োগে পথপ্রদর্শকের ভূমিকাও পালন করতে চায় বেইজিং।
অপর দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, চীনের ‘এক চীন’ নীতিকে সমর্থন করে রাশিয়া। তিনি আরও বলেছেন, তাইওয়ান প্রণালিতে যুক্তরাষ্ট্রের উসকানির বিরোধিতা করে তাঁর দেশ। বৈঠকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের একহাত নেন পুতিন। ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর একাধিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে ক্ষুব্ধ পুতিন। তিনি বলেন, একমুখী বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য সম্প্রতি যে চেষ্টা শুরু হয়েছে, তা পুরোপুরি কুৎসিত এবং অগ্রহণযোগ্য।
ইউক্রেন ইস্যুতে চীনের ‘ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান’কে রাশিয়া গুরুত্বসহকারে দেখছে বলে জিনপিংকে মনে করিয়ে দেন পুতিন। তাইওয়ান ইস্যুতে চীনকে সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেন সংকট নিয়ে আমাদের চীনা বন্ধুদের ভারসাম্য অবস্থানকে আমরা প্রশংসা করি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন পুতিন। ইউক্রেনে হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু এ সময় পশ্চিমা দেশগুলোর পথে না হেঁটে ভারসাম্যমূলক নীতি বজায় রেখেছে চীন।