পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ‘আম্ফান’
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা রাজ্যের দিকে প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। দিল্লির আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আম্ফান ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার। আম্ফান নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে আম্ফান মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সতর্কবার্তা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আম্ফান সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আম্ফান ক্রমশ উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের দীঘা ও হলদিয়ায় এটি আছড়ে পড়তে পারে আগামী বুধবার রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার দুপুর আড়াইটার পর থেকেই আম্ফান শক্তিশালী হতে আরম্ভ করেছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় এটি আরো শক্তিশালী হয়ে সুপার সাইক্লোনে রূপান্তর হবে। বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের দীঘা উপকূলে এটি আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ হবে প্রতি ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার।
আম্ফান মোকাবিলায় এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ও ওড়িশায় ১৭টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর টিমকে মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতটি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে এনডিআরএফ টিম কাজ শুরু করে দিয়েছে। সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আম্ফানের ল্যান্ডফল হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের দীঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যবর্তী অঞ্চলে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস, আম্ফান পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হেনে ২০ মে তা চলে আসবে বাংলাদেশের দিকে।