জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপত্তা নিয়ে জাতিসংঘে বিশেষ বৈঠকের আহ্বান
আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী জাহাজ এবং জাহাজে কর্মরত নাবিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের শিপিং এজেন্সির সঙ্গে আন্তর্জাতিক নৌসংস্থাকে (আইএমও) বিশেষ বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে ১৫টিরও বেশি দেশ।
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রুশ বিমান হামলার গত বুধবার বাংলাদেশি জাহাজের এক নাবিক নিহত হন। এ ছাড়া গত কয়েকদিনে অন্তত দুটি দেশের জাহাজ এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে এ আলোচনার আহ্বান জানানো হলো।
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর থেকে কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগরের মধ্য দিয়ে জাহাজ যাত্রা ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশগুলো। খবর রয়টার্সের।
এমন অবস্থায় বিশ্বের অনেক জাহাজ প্রতিষ্ঠান কৃষ্ণ সাগর বন্দরসহ অন্যান্য বন্দরে নৌযান চলাচল স্থগিত করেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে সমুদ্রযাত্রার জন্য বিমা প্রিমিয়াম বেড়ে গেছে।
জাহাজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন ও তুরস্ক যৌথভাবে এ বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে। একাধিক দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক নৌসংস্থার বর্তমানে ১৭৫টি সদস্য রাষ্ট্র এবং তিনটি সহযোগী সদস্য দেশ রয়েছে। সংস্থাটি আন্তর্জাতিক জাহাজের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
গত বুধবার ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে গোলার আঘাতে হাদিসুর রহমান নামের এক নাবিক নিহত হয়েছেন। তিনি জাহাজটিতে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে) জাহাজটিতে গোলার আঘাত লাগে। এতে আগুন ধরে যায়।
এর আগে গত বুধবার ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ইউনিয়ন এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো কৃষ্ণ সাগর এবং আজভ সাগরের অংশগুলোকে ‘যুদ্ধকালীন এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।