জার্মানিতে খুলেছে সেলুন, তবে মানতে হবে নানা বিধি
বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের দৌরাত্ম্যে কয়েক সপ্তাহের বিধিনিষেধ কাটিয়ে গত সোমবার থেকে জার্মানিতে খুলেছে সেলুন। তবে এসব সেলুনে কাজ করতে হবে শারীরিক দূরত্বের সব বিধি মেনে। জার্মানির সেলুন ও বিউটি পার্লারের মালিক ও নরসুন্দররা এ দিনটির অপেক্ষাতেই ছিলেন। তবে সরকার সেলুন খোলার অনুমতি দিলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার যথাযথ নির্দেশনা মেনে কাজ করতে হবে।
স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, মাস্ক না থাকলে কাটা হবে না চুল। চুল কাটার সময় নরসুন্দর ও খদ্দের উভয়ের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এমনকি চুল কাটাতে অপেক্ষারতও যতটুকু সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সংক্রমণ এড়াতে জার্মানির বেশির ভাগ পার্লার নতুন একটি নিয়ম চালু করেছে। চুল কাটাতে চাইলে আগে অবশ্যই চুল ধুয়ে নিতে হবে। যদিও চুলে যে তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করা হয়, সেটা ভাইরাস নিধনে খুব একটা কার্যকর হবে না বলে মত অনেকের। জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়েচে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে লকডাউন থাকা অবস্থায় বাড়ন্ত চুল নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। জার্মানবাসীও এর ব্যতিক্রম নয়। চুল কাটতে কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের দ্বারস্থ হয়েছেন। কেউ অনলাইনে নানা ভিডিও দেখে নিজে নিজেই চেষ্টা করেছেন। উপায়ন্তর না পেয়ে অনেকে পুরো মাথা ন্যাড়া করে ফেলতেও বাধ্য হয়েছেন। সেলুন খোলায় তাই মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে।
জার্মানিতে সেলুন বা পার্লারে চুল কাটার কাজ বেশি করেন নারীরাই। ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর নতুন আরো সাত হাজার ১০০ নারী এ কাজকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যেখানে পুরুষের সংখ্যা আড়াই হাজার।
নরসুন্দররা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ এক পেশাজীবী। প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা ছাড়া এ কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব নয়। কিন্তু নরসুন্দরদের রোজগার বা বেতন খুব কম। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জার্মানির সব ধরনের হেয়ারড্রেসারের মধ্যে ১৬ শতাংশের গড় বেতন মাসে ৪৫০ ইউরোর কম। অথচ এ খাতে বার্ষিক আয় ৭০০ কোটি ইউরোর বেশি।