চীনে জটিল সংক্রামক রোগে আক্রান্ত তিন সহস্রাধিক মানুষ
উত্তরপূর্ব চীনে কয়েক হাজার মানুষ এক জটিল সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্রুসেলোসিস নামে এই জটিল ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সেকানকার মানুষ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, গতবছর একটি বায়োকেমিকেল ফ্যাক্টরি থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার কারণেই এই সংক্রমণ ঘটেছে। ব্রুসেল নামে একটি ব্যাক্টেরিয়ার প্রভাবেই মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
চীনের গানসু প্রদেশের রাজধানী শহর লানঝাউয়ে তিন হাজার ২৪৫ জন এ পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য কমিশন। আরো এক হাজার ৪০১ জন প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এতে কারো মৃত্যুর খবর মেলেনি। শহরের ২৯ লাখ মানুষের মধ্যে ২১ হাজার ৮৪৭ জনের পরীক্ষা করানো হয়েছে।
চীনের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমের খবর অনুসারে, গত বছরের ২৪ জুলাই থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত লানঝাউ ব্যায়োলজিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ব্রুসেল ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য একটি মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক ব্যবহার করে। সে কারণে কারখানার বর্জ্য হিসাবে ক্রমাগত বাইরে আসতে থাকা গ্যাস থেকেই রোগ ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, এই ব্যাকটেরিয়াগলো বাতাসে ভেসে বেড়ায়। সে কারণেই এ ব্যাকটেরিয়া বাতাসের সঙ্গে দক্ষিণপূর্ব দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে হাজার হাজার মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্রুসেলোসিস রোগটি নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগের মতো মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে স্পর্শের মাধ্যমে। আর এ রোগের অন্যতম উপসর্গ হয়ে দাঁড়ায়, জ্বর, মাথা ব্যথা। এগুলো পুরুষ ও নারীর জননাঙ্গে ক্ষতি সাধন করে।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এই রোগে মৃত্যু নিশ্চিত বলেও জানিয়েছে ইউরোপীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সঠিক সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক দিলে এই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। এ ছাড়া যে পশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয়, তাদের মেরে ফেলতে হয়। আক্রান্ত পশুর দুধ খেলেও মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।