চীনের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র অভিযোগ মাইক পম্পেওর
বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চীনের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালানো চীন ‘গণহত্যা’ করেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
মাইক পম্পেওর বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মনোনীত অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
বিবিসির তদন্ত প্রতিবেদনে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে চীনে জোরপূর্বক ক্যাম্পে আটকে রেখে অমানবিক শ্রমে ব্যবহারের কথা বলছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিশ্বাস করে চীন গত কয়েক বছরে ১০ লাখের মতো উইঘুর জনগোষ্ঠীকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখেছে। যদিও চীন দাবি করে আসছে এগুলো ‘পুনঃশিক্ষাদান শিবির’।
বিবিসির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আটক উইঘুরদের শারীরিক শ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদকালে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য নীতি থেকে শুরু করে করোনার মহামারি— নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের টানাপোড়েনের সম্পর্ক ছিল।
বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই গণহত্যা চলমান এবং আমরা দেখছি চীন সরকার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উইঘুরদের দমনের চেষ্টা করছে।’ গতকাল মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ কার্যদিবসে এমনটা মন্তব্য করে চীনের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা বলেছেন মাইক পম্পেও।
যদিও এখনই কোনো নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সুযোগ নেই। তবে উইঘুরদের গণহত্যা ও নির্যাতনের জন্য তুলাসহ চীনা কিছু পণ্যের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আগেই আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উইঘুর গণহত্যা ছাড়াও তাইওয়ান, তিব্বত, হংকং ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বেশ কিছু মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে চীন।
২০১৯ সালে বিবিসির এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম পরিবারের কাছ থেকে শিশুদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, উইঘুর নারীদের বন্ধ্যাকরণে বাধ্য করা হচ্ছে। তবে, চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।