কানাডার নাগরিকের বিরুদ্ধে আইএস’র ভিডিওতে কণ্ঠ দেওয়ার অভিযোগ

ইসলামিক স্টেট বা আইএস সশস্ত্র গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যমূলক ভিডিওতে কণ্ঠ দিয়েছেন বলে কানাডার এক নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সৌদি আরবে জন্ম নেওয়া মোহাম্মদ খলিফা (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে ২০১৯ সালে সিরিয়া থেকে আটক করে কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী। এরপর তাঁকে এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর হয়।
মোহাম্মদ খলিফার বিরুদ্ধে ‘সহিংসতার ভিডিওতে কণ্ঠ’ দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন কৌঁসুলিরা। তাঁরা বলছেন, অনুবাদক এবং ভিডিওতে নেপথ্য কণ্ঠ দেওয়ার কাজ করার আগে মোহাম্মদ খলিফা আইএস যোদ্ধা হিসেবে লড়াই করেছেন।
‘সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করার অভিযোগে’ আগামী সপ্তাহে মোহাম্মদ খলিফাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে হাজির করা হবে।
মোহাম্মদ খলিফা আটক হওয়ার পর সংবাদপত্রে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, তিনি ছোটখাটো একজন যোদ্ধা ছিলেন। এবং কেবল আইএসের নেপথ্য ‘কণ্ঠ’ হিসেবে কাজ করেছেন।
মোহাম্মদ খলিফা আরও দাবি করেন, যেসব ভয়াবহ ভিডিওতে তিনি নেপথ্য কণ্ঠ দিয়েছেন, সেসব ভিডিও ধারণ করা কিংবা সেসব ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।
সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়ার জন্য ২০১৩ সালে কানাডা ছাড়েন মোহাম্মদ খলিফা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ইংরেজি ও আরবিতে অনর্গল কথা বলতে পারার কারণে মোহাম্মদ খলিফা আইএসের প্রোপাগান্ডা দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যে পরিণত হন।
বিচারে দোষী প্রমাণ হলে মোহাম্মদ খলিফার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

সিরিয়া ও ইরাকের বেশ কিছু এলাকা দখল করে নেওয়া পর আইএসের বিভিন্ন অনলাইন ভিডিওতে শিরশ্ছেদ করাসহ অন্যান্য বর্বরতা দেখানো হতো, যার মাধ্যমে তারা বিশ্বব্যাপী সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করত।
তবে, আইএস বাহিনীর দখল করা এলাকা হাতছাড়া হতে শুরু করলে তাদের প্রোপাগান্ডা ভিডিওর সংখ্যাও কমতে থাকে।