কসোভো ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে প্রথম রায়
প্রথম বারের মতো যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে কসোভো ট্রাইব্যুনাল। সাবেক কসোভো লিবারেশন আর্মি (কেএলএ) কমান্ডার সালেহ মুস্তাফাকে দোষী সাব্যস্ত করেন এই ট্রাইব্যুনাল। পরে তাঁকে ২৬ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খবর আলজাজিরার।
সালেহ মুস্তাফা ১৯৯৮-৯৯ সালে সার্বিয়ার সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একটি কারাগার চালাতেন। ওই কারাগারে নির্যাতন করা হতো। আদালত শুক্রবার সালেহ মুস্তাফাকে কারাগারে হত্যা ও নির্যাতনসহ যুদ্ধাপরাধের জন্য ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আলজাজিরার প্রতিবেদন বলছে, ‘ওই কারাগারে বন্দিদের বেশিরভাগই কসোভো আলবেনীয়রা ছিলেন। বন্দিদের মধ্যে যারা কেএলএর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল, তাদের মারধর করা হতো এবং প্রতিদিন নির্যাতন করা হতো।’
প্রধান বিচারক ম্যাপি ভেল্ডট-ফগলিয়া বলেছেন, রায়টি আদালতের জন্য একটি ‘মাইলফলক’। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ট্রাইব্যুনালে এটিই প্রথম যুদ্ধাপরাধের রায়।
বিচারকরা দেখতে পান যে মোস্তফা ব্যক্তিগতভাবে কমপক্ষে দুজন বন্দিকে মারধর ও নির্যাতনে অংশ নিয়েছিলেন এবং তার অধস্তনদের মধ্যে একজনকে অপর এক বন্দির সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে দিয়েছিলেন। পরে ওই বন্দি মারা যান।