করোনা মোকাবিলায় নার্সদের জন্য জরুরি বিনিয়োগের আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য জরুরি বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও এর অংশীদাররা। আজ মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও জানায়, মহামারি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের শক্তিশালী করা জরুরি প্রয়োজন।
দ্য স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ডস নার্সিং ২০২০-এর একটি নতুন প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জরুরি বিনিয়োগের প্রয়োজনীতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, নার্সিং শিক্ষা, নার্সিং চাকরিক্ষেত্র তৈরি এবং নেতৃত্বের জন্য সরকারকে বড় আকারে বিনিয়োগ করতে হবে। নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া কোনো দেশ করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়লাভ করতে পারবে না। একই সঙ্গে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করতেও পারবে না।
নার্সরা সারা বিশ্বের স্বাস্থ্যকর্মীদের অর্ধেকেরও বেশি, যারা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেবা সরবরাহ করে। প্রতিবেদন বিশ্বজুড়ে নার্সিংকে শক্তিশালী করতে এবং সবার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ফাঁকগুলো শনাক্ত করা হয়।
জেনেভা থেকে প্রকাশিত গণমাধ্যম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নার্সরা সর্বদা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সর্বদা এগিয়ে রয়েছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক ড. টেড্রেস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, ‘নার্সরা যেকোনো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মেরুদণ্ড। আজ অনেক নার্স কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে রয়েছেন।’
ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব নার্সেস (আইসিএন), নার্সিং নাও এবং ডব্লিউএইচওর যৌথ অংশীদারত্বে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ২৮ মিলিয়ন নার্স স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৬৯৭।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৩৫ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৯ লাখ ৮৬ হাজার ২৩৪ জন চিকিৎসাধীন এবং ৪৭ হাজার ৩৫৩ জন (৫ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছে অনেক মানুষ। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের মধ্যে দুই লাখ ৮৬ হাজার ২৩৪ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম দেখা দেওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ৭৪ হাজার ৭৬৭ জন রোগী মারা গেছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।