করোনা পরিস্থিতিতে তেল উৎপাদন কমাতে রেকর্ড চুক্তি
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় এক রেকর্ড তেলচুক্তিতে সম্মত হয়েছে ওপেক ও এর মিত্র দেশগুলো। গতকাল রোববার এক ভিডিও কনফারেন্সে এ চুক্তির মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত তেল উৎপাদন হ্রাস করার ব্যাপারে একমত হয়েছে দেশগুলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
তেল উত্তোলনকারী দেশ এবং রাশিয়াসহ মিত্রদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ওপেক প্লাস’ গত ৯ এপ্রিল এ চুক্তির জন্য পরিকল্পনা করলেও মেক্সিকোর বিরূপ মনোভাবে তা থেমে যায়। শেষ পর্যন্ত রাজি হয় মেক্সিকো। এদিকে, ওপেক এই তেলচুক্তির ব্যাপারে এখনো ঘোষণা না দিলেও বিভিন্ন দেশ এটি নিশ্চিত করেছে।
ওপেক প্লাস প্রতিদিন ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে বলে এই চুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কুয়েতের জ্বালানি মন্ত্রী খালেদ আলী মোহাম্মদ আল-ফাদেল এক টুইটবার্তায় এ চুক্তির ব্যাপারে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস আলাদাভাবে এ চুক্তির ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটে লেখেন, ‘ওপেক প্লাসের সঙ্গে বড় ধরনের তেলচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আমি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও সৌদি আরবের কিং সালমানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি ওভাল অফিস থেকে তাঁদের সঙ্গে আলাপ করেছি। সবার জন্যই দুর্দান্ত একটি চুক্তি!’
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা কমেছে দৈনিক তিন কোটি ব্যারেল। এমন পরিস্থিতিতে ওপেক প্লাস আন্তর্জাতিক বাজারে মোট দৈনিক সরবরাহের ১০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী মে ও জুনে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করবে ওপেক প্লাস।
গত ১৮ বছরের মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম সবচেয়ে তলানিতে এসে ঠেকেছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, যানবাহন চলাচল এবং বৃহৎ শিল্পাঞ্চল লকডাউনের আওতায় পড়ায় জ্বালানির বৈশ্বিক চাহিদা দৈনিক তিন কোটি ব্যারেল কমেছে। বিশ্ববাজারে এখন যা সরবরাহ আছে, এটি তার ৩০ শতাংশ।