ভারতের বিখ্যাত শেফ ফ্লয়েড কার্ডোজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে গত বুধবার (২৫ মার্চ) মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান হাঙ্গার ইনকরপোরেশন হসপিটালিটির এক বিবৃতিতে কার্ডোজের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের রন্ধন-সম্পর্কীয় পরিচালক ছিলেন তিনি।

বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ১৮ মার্চ কার্ডোজের কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়। এতে ফল পজিটিভ আসে। এর পর থেকে নিউ জার্সির মাউন্টেন সাইড মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে।

ভারতের মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করলেও গোয়াতে বেড়ে ওঠেন ফ্লয়েড। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাওয়ার আগে সুইজারল্যান্ডের লেস রোশে কুলিনারি (রন্ধনশিল্প) স্কুলে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। বিখ্যাত মুম্বাই রেস্টুরেন্ট, বোম্বাই ক্যান্টিন ও পেদ্রো এবং বোম্বাই সুইট শপের মালিকানার অংশীদার ছিলেন ফ্লয়েড। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি রেস্টুরেন্ট ও ইউনিয়ন স্কয়ার হসপিটালিটি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ড্যানি মায়ারকে নিয়ে ১৯৯৮ সালে ভারতের প্রথম দিককার আধুনিক রেস্টুরেন্ট ‘তবলা’ প্রতিষ্ঠা করেন কার্ডোজ। তিনি এর নির্বাহী শেফের দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর নিউইয়র্কে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠা করেন কার্ডোজ। দুটি রান্নার বইও লিখেছেন তিনি। ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বই ‘ওয়ান স্পাইস, টু স্পাইন : আমেরিকান ফুড’। অপর বইটি ‘ফ্লয়েড কার্ডোজ : ফ্লেভারওয়ালা : বিগ ফ্লেভার. বোল্ড স্পাইসিস. আ নিউ ওয়ে টু কুক দ্য ফুডস ইউ লাভ’ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে।

সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্ডোজ বলেছিলেন, “আমি বায়োকেমিস্ট হতে চেয়েছিলাম। যখন আমি আর্থার হেইলির ‘হোটেল’ বই পড়লাম...এর পর থেকে আমি রান্না শুরু করি। আমি বুঝতে পারি আমি এটাতে পারদর্শী।”