চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১১২ জনে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৫ হাজার। মৃত ও আক্রান্তদের বেশিরভাগই চীনের হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। প্রদেশটিতে আজ বৃহস্পতিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

এদিকে ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রথম রোগটিতে মধ্যপ্রাচ্যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গতকাল বুধবার চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে হংকংয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো একজনের মৃত্যু হয়।

এদিকে করোনাজনিত কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপ শুরুর পর থেকে বিচ্ছিন্ন উহান নগরীর মানুষ দিন কাটাচ্ছে চরম দুর্ভোগে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানপাট বন্ধ। সেইসঙ্গে বাড়ির বাইরে বের হতে না পারায়, বেঁচে থাকার তাগিদে বাধ্য হয়েই অনলাইনে কেনাকাটার দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে তাদের। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন চাল, আটা, ময়দা, মাংস, দুধ, ডিম সবজিও কিনতে হচ্ছে ই-কমার্সের সাইট থেকে।

এমন সতর্কতার কারণে চীনে করোনার সংক্রমণ আগের চেয়ে কমেছে ঠিকই, কিন্তু মৃত্যু অব্যাহত আছে। যদিও ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চীনের গৃহীত পদক্ষেপকে বড় ধরনের সফলতা বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রস আধানম বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চীন যে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে এরই মধ্যে সফলতা এসেছে। যার কারণে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও কমে আসছে। অন্য দেশগুলোর চীনকে অনুসরণ করা উচিত। তবে এটা ঠিক যে, এই ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে এখনো মুক্ত নয় বিশ্ব।’

চীনে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়েও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে এ ভাইরাস। সেখানে নতুন করে ৬২ জন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়াতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

এদিকে গতকাল বুধবার জাপানের ইয়োকোহামায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে প্রায় ৫০০ জনকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণ শেষে তাঁদের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। করোনার কারণে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ জাপানের পণ্য রপ্তানিতেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই দেশটির রপ্তানি কমেছে আড়াই শতাংশের বেশি। এদিকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে চীনা নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করেছে রাশিয়া।