ওষুধের তীব্র সংকটে পাকিস্তানের হাসপাতাল
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/02/26/medicine.jpg)
শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তান, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক সংকট আঘাত হানতে বাকি রাখেনি তাদের স্বাস্থ্য সেবায়। নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকটে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির হাসপাতালগুলো। আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ওষুধ আমদানিও করতে পারছে না পাকিস্তান। এমনকি, দেশীয় ওষুধ শিল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতে দেশটিতে ওষুধ উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে অস্ত্রোপচার করতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, দুই সপ্তাহের মধ্যেই অস্ত্রোপচারের চিকিৎসা সরঞ্জাম শেষ হয়ে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে চেতনানাশক ওষুধ। অন্যদিকে, চাকরি হারাতে পারেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এ সংকটের জন্য দেশের আর্থিক অবস্থাকে দায়ী করছে ওষুধ উৎপাদনকারীরা। তাদের দাবি, ওষুধ আমদানির জন্য এলসি খুলছে না বেসরকারি ব্যাংকগুলো।
এনডিটিভি বলছে, পাকিস্তানের ওষুধ শিল্প আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের ৯৫ শতাংশই আমদানি করা হয় চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। মার্কিন ডলার সংকটের কারণে ওষুধ শিল্পের অনেক কাঁচামাল করাচি বন্দরে আটকে রয়েছে।
পাকিস্তানের ওষুধ উৎপাদনকারীরা বলছেন, দেশের মুদ্রার মান কমে যাওয়া, তেলের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহণ খরচ বাড়ায় ওষুধের দাম বেড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে বিপর্যয়ের দিকে না যায় সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (পিএমএ)। তবে, কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নিয়ে এখনও ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা করছে।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/02/26/medicine-in.jpg)
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের খুচরা ওষুধ বিক্রেতারা জানান, সরকার থেকে ওষুধের ঘাটতি নিয়ে একটি জরিপ চালানো হয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা তাদের দোকানে গিয়েছিলেন।