ইরানের হামলায় ‘৩৪ মার্কিন সেনা মাথায় আঘাতজনিত সমস্যায় ভুগছে’

ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ৩৪ মার্কিন সেনা মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর বা পেন্টাগন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জোনাথন হফম্যান গতকাল শুক্রবার জানান, ১৭ মার্কিন সেনাকে এখনো পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করে আসছিলেন, গত ৮ জানুয়ারির ওই হামলায় কোনো মার্কিন সেনা আহত হয়নি। গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে একটি বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন রকেট হামলায় নিহত হন ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। এরই জবাবে ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান।
ইরানের হামলায় কোনো মার্কিন সেনা আহত না হওয়ায় ইরানের ওপর পাল্টা হামলা না করার কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু গত সপ্তাহে পেন্টাগন জানায়, হামলার পর মাথায় আঘাতজনিত কারণে ১১ মার্কিন সেনাকে শুশ্রূষা করা হচ্ছে।
মার্কিন সেনাদের আহত হওয়া বা না হওয়া নিয়ে এমন ঢাকঢাক গুড়গুড় প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সে সময় সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে ছিলেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুনেছি ওদের মাথাব্যথা করছিল, আর কী কী যেন সমস্যা হয়েছে। কিন্তু আমার যা মনে হয়, আমি বলতে পারি, খুব একটা গুরুতর কিছু হয়নি।’
সেনারা মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন কি না প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এসবকে খুব গুরুতর আঘাত বলব না। কেননা এর চেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্তদের আমি আগে দেখেছি।’
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো মার্কিন সেনা নিহত হয়নি। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ঘাঁটির বেশিরভাগ সেনাই বাঙ্কারে আশ্রয় নেয় বলে জানায় পেন্টাগন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জোনাথন হফম্যান গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, হামলায় আহত আট মার্কিন সেনাকে আরো চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আরো নয় সেনা জার্মানিতে চিকিৎসাধীন আছে।
ইরানের হামলার পর আহত ১৭ মার্কিন সেনার মধ্যে ১৬ জনকে ইরাকেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। আরেক সেনা কুয়েতে চিকিৎসা নেন। এরপর তাঁরা সবাই ইরাকের ঘাঁটিতে কাজ যোগ দেন।
পেন্টাগন মুখপাত্র দাবি করেন, হামলার পর কয়েক দিন পর্যন্ত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার সেনাদের আহত হওয়ার বিষয়টি অবগত ছিলেন না।