ইতালিতে ফার্মেসি-খাবারের দোকান বাদে বন্ধ সব দোকানপাট

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইউরোপের দেশ ইতালি। সেখানে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমে যাওয়ার কোনো নামগন্ধও নেই; বরং ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে ইতালির সরকার। সেখানে পুরো দেশকেই রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। এ ছাড়া ফার্মেসি ও খাবারের দোকান বাদে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব ধরনের দোকানপাট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে জানিয়েছেন, পানশালা, রেস্তোরাঁ, হেয়ারড্রেসার এবং আপাতত অপ্রয়োজনীয় সংস্থাগুলোও বন্ধের আওতায় থাকবে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে আঘাত আসায় এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এদিকে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি দি মাইও জানান, ইতালিকে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে চীন। তিনি বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে যারা আমাদের পাশে থাকবে, আমরা তাদের স্মরণ করব।’
এদিকে এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দুঃসংবাদ দিল ইতালির ক্লাব জুভেন্টাস। দলটির ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল রুগানি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তুরিনের ক্লাবের পক্ষ থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়।
জুভেন্টাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইতালীয় তারকার দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। তবে রুগানির শরীরে করোনার উপসর্গগুলো বর্তমানে অপ্রকাশ্য অবস্থায় রয়েছে। তাই দ্রুতই তাঁর সুস্থতার আশা করছে জুভেন্টাস।
বর্তমানে জুভেন্টাসের অধীনেই চিকিৎসা চলছে রুগানির। কয়েক দিন ধরে ইতালীয় এ তারকার কাছাকাছি আসা ফুটবলারদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কথা বলেছে জুভেন্টাস।
এদিকে ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ১৯৬ জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২৭ জনে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১২ হাজার ৪৬২ জনে পৌঁছেছে।
ইতালি ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ধুঁকছে করোনাভাইরাসে। এর মধ্যে ফ্রান্সে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ২৮১, স্পেনে দুই হাজার ২৭৭, জার্মানিতে এক হাজার ৯৬৬, সুইজারল্যান্ডে ৬৪২, নরওয়েতে ৫৯৬, ডেনমার্কে ৫১৬, নেদারল্যান্ডসে ৫০৩, যুক্তরাজ্যে ৪৫৬ ও বেলজিয়ামে ৩১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।