ইরানি হামলায় মস্তিষ্কে আঘাতপ্রাপ্ত মার্কিন সেনার সংখ্যা ১০০ ছাড়াল
ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি গত ৮ জানুয়ারি যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাতে মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যায় ভোগা মার্কিন সেনার সর্বশেষ সংখ্যা ১০০ জনের বেশি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর বা পেন্টাগন।
পেন্টাগন গতকাল সোমবার জানিয়েছে, মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছেন, এমন মার্কিন সেনার সংখ্যা ১০৯ জন। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষদিকে পেন্টাগন এই সংখ্যা ৬৪ জন বলে জানিয়েছিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।
এ ছাড়া ‘ট্রমাটিক ব্রেইন ইনজুরি’তে ভোগা ৭৬ জন মার্কিন সেনা কর্মস্থলে ফিরে গেছেন বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন, বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ পশ্চিমা অনেক গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। এসব গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত একশর বেশি মার্কিন সেনাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে এ খবর জানিয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি ইরানি হামলার পর পেন্টাগন ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানে হামলায় কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হননি। কিন্তু কিছু দিন পর প্রথমে ১১ জন সেনা আহত হওয়ার কথা স্বীকার করা হয়। এরপর ৩৪ জন এবং পরবর্তী সময়ে ৫০ জন আহত হওয়ার কথা স্বীকার করে পেন্টাগন। এখন বলা হচ্ছে, মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যায় ভুগছে ১০৯ জন মার্কিন সেনা।
সিএনএন বলছে, পেন্টাগনের কয়েকজন কর্মকর্তা গত মাসে জানিয়েছিলেন, মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়া সেনার সংখ্যা বাড়তে পারে, কারণ ইরানি হামলার সময় আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে ২০০ সেনা অবস্থান করছিলেন। এসব সেনার কিছু ইউরোপে এবং কিছু যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত নেওয়া হয়েছে। গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, মস্তিষ্কে আঘাতকে তিনি মারাত্মক কোনো শারীরিক ক্ষতি বা আঘাত বলে মনে করেন না। সে সময় তিনি ইরাকে মার্কিন সেনাদের গুরুতর আহত হওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ সব মন্তব্য প্রসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রেসিডেন্ট এখন সেনাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে যারা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ইরাকে ছিল। প্রেসিডেন্ট এখন সেনাদের আহত হওয়ার ধরন সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।’