কফিন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ, রাশেদ মাকসুদের অপসারণ দাবি

পুঁজিবাজারে টানা পতনের প্রতিবাদে এবার কফিন নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এই বিক্ষোভে থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারকে রক্ষা করা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ না, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
আজ রোববার (১৮ মে) দুপুরে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটের সামনে কফিন নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন বিনিয়োকারীরা। পরে কফিন মিছিল করেন তারা। মিছিল হার্টখোলার মোড় দিয়ে ঘুরে মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনের সামনে গিয়ে থামে। সেখানে গায়েবানা জানাজা পড়ে বিক্ষোভ শেষ করেন। এতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন।
বিক্ষোভে উপস্থিত বিনিয়োগকারীরা স্লোগানে দিতে থাকেন— ‘তুমি কে আমি কে, বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী’, ‘বিনিয়োগকারীরা ভাই ভাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘অর্থ উপদেষ্টার স্বজনপ্রীতি, বন্ধ কর বন্ধ কর’, ‘মতিঝিলে কফিন কেন, রাশেদ মাকসুদ জবাব দে’ ‘কফিন আনছি করব দে, নইলে চেয়ার ছাইড়া দে’, ‘বিনিয়োগকারী কবরে, মাকসুদ কেন চেয়ারে’, ‘রাশেদ মাকসুদের আস্তানা, ভেঙে দে গুঁড়িয়ে দে’, ‘স্বৈরাচারের আস্তানা, বিএসইসিতে হবে না’, ‘আমার টাকা, আমার টাকা, ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও’।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ পুঁজিবাজার বোঝেন না, এমন দাবি করে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বলেন, ‘এটা যেমন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, তেমনি বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডাররা বলছেন।’
বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘গতকাল বিএসইর চেয়ারম্যান পুঁজিবাজারের অংশীজনদের সঙ্গে বসেছেন। সেখান তিনি অংশীজনদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, পুঁজিবাজারের নেগেটিভ তথ্য যেন মিডিয়াতে না যায়। একইসঙ্গে তাকে নিয়ে যেন কোনো আন্দোলন না হয়। এই হলো বিএসইসির বর্তমান অবস্থা। কোনো অনুশোচনা, বিচার-বুদ্ধি তার মধ্যে নেই। তাই পুঁজিবাজারের স্বার্থে দ্রুত বিএসইসির চেয়ারম্যান পদ থেকে খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে অপসারণ করা উচিত।’
বিনিয়োগকারীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘রাশেদ মাকসুদ কমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৯০ হাজার কোটি টাকা। সূচকের হাজার পয়েন্টের বেশি পতন হয়েছে। পুঁজি হারিয়ে এখন বিনিয়োগকারীরা পথে বসেছে। পুঁজি হারানোর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অনেকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে যাচ্ছে। সামনে কোরবানি আসছে, এর আগেই রাশেদ মাকসুদ আরও অনেকের কোরবানি হওয়ার মতো রাস্তা তৈরি করেছে। এই থেকে পরিত্রাণ চাই।’