আপনার জিজ্ঞাসা
ঘরে বসে ইতিকাফ করা যাবে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ মতিউল ইসলাম।
জুমাবারের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ২২১৫তম পর্বে ইতিকাফ করা হয় কেন, এর নিয়মকানুন কী এবং ঘরে বসে ইতিকাফ করা যাবে কি না, সে বিষয়ে ই-মেইলে জানতে চেয়েছেন সাইফুল ইসলাম। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : ইতিকাফ করা হয় কেন? এর নিয়মকানুন কী? ঘরে বসে কি ইতিকাফ করা যাবে?
উত্তর : ইতিকাফ রাসুল (সা.) করেছেন। মক্কা থেকে হিজরত করে যখন মদিনায় এসেছেন, সেই থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিবারই তিনি ইতিকাফ করেছেন। ইতিকাফ রাসুল (সা.) নিজে করেছেন, সাহাবাগণ ইতিকাফ করেছেন এবং রাসুলের (সা.) স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।
‘ইতিকাফ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে দুনিয়ার সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে একান্ত আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্যে মসজিদে চলে আসা। হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন যে, রাসুল (সা.) তাঁর জীবদ্দশায় মদিনায় আসার পর মৃত্যু পর্যন্ত ইতিকাফ করেছেন। আর ইতিকাফ করার শর্ত হলো মসজিদ। ইতিকাফ মসজিদে করতে হবে, ঘরে বসে ইতিকাফ করা যাবে না। বায়তুল্লায় নবী করিম (সা.)-কে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমার ঘরকে পূতপবিত্র করুন, ইতিকাফকারীদের জন্য। নবী করিম (সা.) মসজিদে ইতিকাফ করেছেন, উনার স্ত্রীরা অনুমতি চেয়েছেন, তাঁদের জন্য আলাদাভাবে মসজিদে ইতিকাফ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যদিও কোনো কোনো আহালে এলেম বলেছেন, ঘরে মহিলারা ইতিকাফ করতে পারবেন। কিন্তু অধিকাংশ আলেম বলেছেন, ইতিকাফের জন্য মসজিদ হলো শর্ত। অতএব, মসজিদে ইতিকাফ করতে হবে।
ইতিকাফের নিয়মকানুন বলতে বোঝায়, মসজিদে এসে দুনিয়ার অন্যান্য ঝামেলা, ব্যবসা-বাণিজ্য এইসব কাজ থেকে মুক্ত থাকা।