আপনার জিজ্ঞাসা
কোরআনে উল্লেখিত অধিকারভুক্ত দাসী কারা?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমাবারের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫৩১তম পর্বে সূরা নিসা ও সূরা মুমিনে অধিকারভুক্ত দাসী বলে কাদের বুঝানো হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গাজীপুর থেকে টেলিফোন করেছেন মমতা খাতুন। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : সূরা নিসার তিন নম্বর আয়াত ও সূরা মমিনের পাঁচ নম্বর আয়াতে যে অধিকারভুক্ত দাসীর কথা বলা হয়েছে, এই অধিকারভুক্ত দাসী বলতে কী বুঝানো হয়েছে? সেটি একটু জানতে চাই।
উত্তর : আল্লাহসুবানাহুতায়ালা সূরা নিসা, সূরা মমিনসহ কোরআনে কারিমের অনেক আয়াতের মধ্যে অধিকারভুক্ত দাসীর কথা উল্লেখ করেছেন। এখানে দাসী বলতে যেসময়ে দাসী কেনা হতো,সেইসময়ের বিধানের কথা আলোচনা করা হয়েছে। কারণ তখনকার সময়ে দাস-দাসী বিক্রি হতো। সেই রকম দাসদাসী যদি থাকে, তাহলে তাঁদের বিধান হচ্ছে এটি।
কিন্তু বর্তমানে দাস-দাসী কেনাবেচা হয় না। তাই এটি বর্তমানের দাসদাসীদের বিধান নয়। আমাদের অনেকেই অধিকারভুক্ত দাসদাসী বিষয়টি বোঝেন না, অথবা অনেকেই একে ভুল ব্যাখ্যার মধ্যে নিয়ে যান, সেটি হচ্ছে—অনেকেই মনে করেন যে, যারা কর্মচারী আছেন, কাজ করেন অথবা ঘরবাড়ীতে যারা কাজ করে থাকেন, এরাই এই দাসী। বিষয়টি মূলত এমন না। এই ধারনের দাসী বলতে বুঝানো হয়, যাদের কেনা হয়ে থাকে, যারা একেবারেই আপনার মালিকানাভুক্ত। আর অধিকারভুক্ত শব্দটি শুদ্ধ নয়, এটি হচ্ছে মালিকানাভুক্ত। এরা তো আপনার মালিকানাভুক্ত কেউ না, এরা চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করে, এদের শরিয়তের পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে কর্মচারী। যারা টাকার বিনিময়ে আপনার কাজ করে দিচ্ছে।
সুতরাং, অধিকারভুক্ত দাসী বলতে এদের বোঝানো হয়নি, বোঝানো হয়েছে ওই সব নারীকে যারা মালিকানাভুক্ত ছিল, দাসী হিসেবে যাদের ক্রয় করা হতো। এই ধরনের দাসী বর্তমান বিশ্বের দুই একটা দেশে থাকলেও থাকতে পারে। সেটি খুব উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নয়, এক কথায় নেই বললেই চলে।