হজ ও উমরা
উমরা যতবার খুশি করা যাবে কি?

সামর্থ্যবান মুসলমানের জীবনে একবার হজ পালন করা অবশ্যকর্তব্য। সব সময় চর্চা হয় না বলে হজ পালন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা থাকে না। হজের শুদ্ধ পদ্ধতি, হজের প্রস্তুতি নিয়ে জানা মুসলিমদের কর্তব্য। এ লক্ষ্যেই এনটিভির বিশেষ অনুষ্ঠান ‘হজ ও উমরা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমাবারের সরাসরি সম্প্রচারিত হজ ও উমরা অনুষ্ঠানের পঞ্চম পর্বে উমরা যতবার খুশি ততবার করা যাবে কি না, সে সম্পর্কে রংপুর থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন রুহুল আমিন। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমার প্রশ্ন হলো, হজে যাওয়ার সময় একটা উমরা হয়, আর মদিনা থেকে আসার সময় একটা উমরা হয়। এ ছাড়া আমরা যদি অতিরিক্ত উমরা করতে চাই, তাহলে হবে কি?
উত্তর : অতিরিক্ত উমরা করার কোনো প্রয়োজন নেই। যদি আপনি মনে করেন যে আরো উমরা করবেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই মিকাতের বাইরে কোথাও গিয়ে, সেখান থেকে আসার সময় উমরা করতে হবে। তবে এটি সুন্নাহ অনুযায়ী খুব বেশি সমর্থিত বিষয় না। কারণ, হজের সফরে একটা উমরাই যথেষ্ট। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন, আপনি অতিরিক্ত উমরা করবেন, যেহেতু বারবার যেতে পারবেন না, সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মিকাতের বাইরে যেতে হবে। মিকাতের বাইরে আপনি তায়েফ, রাবেক, মদিনা, আস-সাইরুল খাবির, আস-সাদিয়াত যেতে পারেন। এসব জায়গা থেকে আসার পথে মিকাত পড়বে।
কিন্তু আপনি মক্কায় থেকে আয়েশা মসজিদে গিয়ে যদি ইহরাম করে এসে উমরা করেন, তাহলে আপনার উমরাও হবে না এবং এই উমরা রাসূল (সা.) অনুমোদন দেননি। কারণ, মিকাতের বাইরে থেকে উমরা করার বিধান। সুতরাং আপনি যদি মক্কায় থেকে আয়েশা মসজিদে গিয়ে ইহরাম করেন এবং সেখান থেকে উমরা করার জন্য চেষ্টা করেন, সেটি একেবারেই ভুল উমরা।
অনেকেই এ ধরনের উমরা করে থাকেন। এই কাজটি শুদ্ধ নয়, এটি সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ; বরং এ বিষয়ে মুহিব আত-তাবারি একটি কিতাব লিখেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, এটি ফজিলতের কাজ তো নয়ই, বরং গুনাহ হবে। যেহেতু আল্লাহর নবীর (সা.) নির্দেশনার বিরুদ্ধাচরণ করা হচ্ছে।
হজে গিয়ে বেশি বেশি তাওয়াফ করা হচ্ছে সুন্নাহ এবং এটিই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম কাজ। যাঁরা মক্কায় অবস্থান করেন, তাঁরা বেশি করে তাওয়াফ করবেন এবং আল্লাহর ঘরে গিয়ে বেশি করে নফল সালাত আদায় করবেন। পূর্বে ফরজ যে সালাতগুলো কোনো কারণে বিনষ্ট হয়েছে, সেগুলো যাতে পূরণ হয়ে যায়, সে জন্য বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করবেন।