হজ ও উমরা
তাওয়াফ-ই ইফাদা না করলে হজ-ই ইফরাত হবে কি?

সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ পালন অবশ্যকর্তব্য। আমরা সব সময় চর্চা করি না বলে হজ পালন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা থাকে না। হজের শুদ্ধ পদ্ধতি, হজের প্রস্তুতি এসব বিষয়ে জানা আমাদের কর্তব্য। এ লক্ষ্যেই এনটিভির বিশেষ অনুষ্ঠান ‘হজ ও উমরা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমাবারের সরাসরি সম্প্রচারিত হজ ও উমরা অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে, তাওয়াফে ইফাদা পালন না করলে ইফরাত হজ পালন সম্পন্ন হবে কি না, সে সম্পর্কে চাঁদপুর থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন বাবুল। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমি হজ-ই ইফরাত করতে গিয়েছিলাম। আমি প্রথমেই তাওয়াফ এবং সাঈ করে সরাসরি আরাফাতে চলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করে মিনায় আসার পর বিদায়ী তাওয়াফ করে চলে আসি। আমার হজে কি কিছু বাকি আছে? মাঝে আরেকটি তাওয়াফ নাকি করার ছিল, সেটি আমি করিনি। আমার হজে কি কোনো সমস্যা হয়েছে?
উত্তর : আপনি শেষে শুধু বিদায়ী তাওয়াফ করেছেন, কিন্তু ফরজ যে তাওয়াফ সেই তাওয়াফ করেননি। আপনি বিদায়ী তাওয়াফ করার সময় ফরজ তাওয়াফের নিয়ত করেছেন কি না, যদি ফরজ তাওয়াফের নিয়ত করে থাকেন, তাহলে আপনার হজ হয়ে গিয়েছে। আর যদি ফরজ তাওয়াফের নিয়ত না করে থাকেন, তাহলে আপনার হজ হয়নি। যেহেতু আপনার ফরজই আদায় হয়নি।
হজ-ই ইফরাতের মধ্যে মূলত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে রুকন, সেই রুকনটি হচ্ছে তাওয়াফ-ই ইফাদা। তাওয়াফুল ইফাদাটিই আপনি করেননি, আপনি বিদায়ী তাওয়াফ করে চলে এসেছেন। উচিত ছিল যেটা, সেটা হচ্ছে, বিদায়ী তাওয়াফ করার সময় একসঙ্গে তাওয়াফুল ইফাদা এবং বিদায়ী তাওয়াফ এই দুইটারই নিয়ত করা। তাহলে আপনার হজটা হতো। কিন্তু আমি জানি না আপনি কীভাবে করেছেন।
মোট কথা, আপনার হজ হয়েছে কি না সেটা নির্ভর করছে আপনি নিয়ত করেছেন কি না তার ওপর।