আপনার জিজ্ঞাসা
ইমান ঠিক রাখার জন্য কোন বিষয়ে সতর্ক থাকব?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৯৫তম পর্বে ইমান ঠিক রাখার জন্য কোন বিষয়ে সতর্ক থাকব, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে মেইলে জানতে চেয়েছেন আছাদুর রহমান। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : একজন মুসলমানের ইমান ঠিক রাখার জন্য কোন বিষয়ে সবচেয়ে সচেতন থাকা দরকার?
উত্তর : ইমানকে ঠিক রাখার জন্য মৌলিক কাজ হচ্ছে, যে কাজগুলোর মাধ্যমে বান্দার ইমান বিনষ্ট হয়ে যাবে, সে কাজগুলো থেকে বান্দা নিজেকে সতর্ক থাকবে এবং সে কাজ থেকে নিজেকে অনেক দূরে রাখবে। ইমান বিনষ্ট হওয়ার অনেক কাজ রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কাজটি হলো শিরক থেকে দূরে থাকতে হবে, সেটা ছোট বা বড় শিরক হোন না কেন। যেহেতু শিরকি কাজগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই, সেহেতু এর কারণে আমরা ইমান থেকে বের হয়ে যাই, সেটা আমরা নিজেরাই জানি না। সুতরাং, তৌহিদকে ঠিক রাখার জন্য অবশ্যই শিরকমুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।
শিরককে ওলামায়ে কেরাম দুই ভাগে ভাগ করেছেন। একটা হলো শিরকে আকবর, সেগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর বান্দা ইসলাম থেকে পরিপূর্ণরূপে খারিজ হয়ে যাবে। আরেকটি হলো শিরকে আসগার, যার মাধ্যমে তার আমলগুলো বরবাদ হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত হলো এমন কাজ, যে কাজগুলো মূলত আল্লাহর যে আয়াত রয়েছে, যে বিধান রয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে কুফরি। কুফরি কাজ থেকে যদি আপনি নিজেকে বিরত রাখতে না পারেন, তাহলে ইমানের দাবি করা আপনার জন্য একবারেই অহেতুক বা অবাঞ্ছিত। যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ত্যাগ করে থাকেন, তিনি কাফের এবং তাঁর এই কাজটি কুফরি।
তৃতীয় পয়েন্ট হলো মুনাফিকি, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি অন্তরের মধ্যে এমন জিনিস গোপন করে রাখলেন, যা ইসলাম একবারেই অনুমোদন দেয় না, নিষিদ্ধ করে দিয়েছে, এ ধরনের কাজ ইসলামবিরোধী। যেমন : নবী করিম (সা.)-এর প্রতি আপনার অনীহা, অবজ্ঞা বা অনিচ্ছা।
চার নম্বর বিষয় হলো, ইসলামের কোনো হারাম বিষয়কে হালাল মনে করা। এটি ইসলামের মধ্যে কোনোভাবেই বৈধ নয়। এই কাজ করলে ইমানদার বা মুসলিম হওয়ার কোনো সুযোগ আপনার থাকবে না।