ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : ভোটার এলাকা স্থানান্তর কার্যক্রম বন্ধ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আসন্ন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা স্থানান্তর কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে, এ সময়ে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
সম্প্রতি ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি সব উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোট কেন্দ্র চূড়ান্তকরণ ও ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণের নিমিত্ত ভোটার স্থানান্তর কার্যক্রম বন্ধ রাখা এবং নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতকরণের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন কার্যক্রম পূর্বের মতো অব্যাহত রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিয়েছেন।
এই অবস্থায় উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্তকরণ ও ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণের জন্য ভোটার স্থানান্তর কার্যক্রম বন্ধ রাখা এবং নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন কার্যক্রম পূর্বের মতো অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চারটি ধাপে। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণের তারিখ ৮ মে নির্ধারণ করে ২১ মার্চ প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন ১৬১টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের পূর্ণাঙ্গ তফসিল না হলেও ২৯ মে ও ৫ জুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হবে।