লক্ষ্মীপুরে দুই প্রার্থীর ভোট বর্জন
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন দুই প্রার্থী। জাল ভোট ও এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ এনে ওই দুজন ভোট বর্জন করেছেন। জেলা প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে আজ রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরের দিকে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও জাকের পার্টির প্রার্থীরা এই ভোট বর্জনের কথা জানান।
জাপার লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন ও জাকের পার্টির গোলাপ প্রতীকের প্রার্থী সামছুল করিমের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজন বিভিন্ন কেন্দ্রে তাদের এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা কৌশলে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে।
তবে, রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন ভিন্ন কথা। তার দাবি, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। এমনকি, অভিযোগের বিষয়ে তাকে কোনো প্রার্থী কিছু জানাননি বলে জানান তিনি।
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ডিসি-এসপিসহ আমি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ছিলাম। এর মধ্যে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী লিখিত কিংবা মৌখিকভাবে কোনো ধরনের অভিযোগও করেননি। ভোট বর্জনের বিষয়েও তারা লিখিত কিংবা মোবাইলফোনে কল করেও জানাননি।’
অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।
এদিকে, আজ সকাল ৮টা থেকে আসনটির ১১৫ কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল মারা যান। এতে ৪ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে। একইসঙ্গে শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের ১১৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) কেন্দ্রগুলোতে ভোটের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পৌঁছানো হয়। আজ রোববার ভোরে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানো হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষায় ১৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ছয় প্লাটুন বিজিব, র্যাব ও পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি এক হাজার ৪৯৫ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এ আসনে চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ নয় হাজার ৯৬ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৮ জন নারী ভোটার।