বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি রয়েছে কল্পনার বাইরে।’ নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা ভোটারদের আশ্বস্ত করেছে এবং ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বলেও মনে করেন এই কমিশনার।

আজ সোমবার (১২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় আড়াই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ইসি আহসান হাবিব খান।

দুই সিটিতে সকাল ৮টা থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবারই প্রথম একসঙ্গে দুই সিটির নির্বাচন ঢাকায় ইসির মিলনায়তনের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

খুলনা সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে এ সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৪ জন। এ দুই সিটির ভোটার ৪১৫টি কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন। যেখানে তিন হাজার ৪৫৬টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আমরা মাঠ পর্যায় থেকে রিপোর্ট পাচ্ছি, আমাদের নিজস্ব পর্যবেক্ষক টিমের কাছ থেকে। বরিশালে আমাদের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গেছেন এবং খুলনায় গেছেন যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান। তাদের সঙ্গে ১০ জন করে কর্মকর্তা আছেন। তাদের কাছ থেকে যে ফিডব্যাকটা পেলাম—খুব সুন্দর, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হচ্ছে।’

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কোনো প্রকার অসহযোগিতা কারও কাছ থেকে পাইনি। প্রথমত যারা ভোটার, তারা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে এসেছেন। যারা প্রার্থী তারা সহযোগিতা করছেন, কোনো প্রকার উচ্ছৃঙ্খল আচরণ পরিলক্ষিত হয়নি। তৃতীয়ত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। সবাই মিলে এই পর্যন্ত নির্বাচন পরিচালনা করছে। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দের সঙ্গে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। আমরা আশা করি, অতীতের চেয়ে ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে।’

ইভিএমে ভোট প্রসঙ্গে আহসান হাবিব খান বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট হচ্ছে, তেমন কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। কারও পক্ষ থেকে কোনো প্রকার অভিযোগ আসেনি। আশা করি, শেষ পর্যন্ত এভাবেই একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’

আহসান হাবিব খান বলেন, ‘সিইসিসহ আমরা প্রত্যেকটা সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করছি। সকাল থেকে এত বেশি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটার উপস্থিতি যে কল্পনার বাইরে। আমাদের শান্তি দিয়েছে এটা যে, কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা ভোটারদের আশ্বস্ত করেছে এবং তাদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে।’

ভোট পড়ার হার সম্পর্কে জানতে চাইলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আড়াই ঘণ্টায় কয়েকটা কেন্দ্রে দেখলাম ৮০টা, আরেকটা কেন্দ্রে ৪৭টা ভোট হয়েছে। এটা স্লো নয়, গোয়িং ফাস্ট। ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে ভোটার থাকলে ৪টার পরেও ভোটগ্রহণ চলতে থাকবে।’