পিরোলী ও পাঁচগ্রাম ইউপি নির্বাচনে সব প্রার্থীই আ.লীগের

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলী ও পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ নভেম্বর মঙ্গলবার। দুটি ইউপি নির্বাচনে সব প্রার্থীই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
ইতোমধ্যেই নির্বাচনের ডামাডোলে মেতে উঠেছে ইউনিয়নবাসী। দুটি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে কে নির্বাচিত হচ্ছেন—সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। হোটেল, রেস্তোরাঁ ও চায়ের টেবিলে ভোটের অঙ্ক মেলাতে তুমুল আড্ডা চলছে নেতৃস্থানীয় ভোটারদের মধ্যে।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পিরোলী ইউনিয়নে নয়জন এবং পাঁচগ্রাম ইউনিয়নে চারজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয়রা জানান, এরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সব এলাকায় প্রার্থীদের পোস্টার আর পোস্টার। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মাইক ও শোডাউন চলছে প্রার্থীদের পক্ষে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোড়ে মোড়ে চলছে চায়ের আড্ডা। প্রার্থীরাও ভোটারদের সঙ্গে করছেন কুশল বিনিময়।
দুটি ইউনিয়নের একাধিক প্রবীণ ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতীকে নয়, নির্বাচন হবে ব্যক্তি ইমেজে। গত নির্বাচনও এভাবে হয়েছিল। তারা বলেন, পিরোলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নয়জন হলেও এখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিসুল ইসলাম (চশমা), সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. জারজিদ মোল্লা (ঘোড়া), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সজিব মোল্লার (ঢোল) মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৭৫।
পাঁচগ্রাম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী বাদশা মোল্লা (ঘোড়া), সাইফুল ইসলাম (চশমা), অশিক বিল্লাহ (মোটরসাইকেল) ও বোরহান কবির (আনারস)। এই চারজনের হবে মধ্যে ভোটযুদ্ধ। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ছয় হাজার ৫৪৪।
পিরোলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘একটি পরিবারের অভিভাবক হচ্ছেন মা-বাবা। সেই অভিভাবক নষ্ট চরিত্রের মানুষ হলে তার পরিবারের সদস্যরাও নষ্ট হয়ে যায়। তেমনি অবস্থা হয়েছে আমাদের পিরোলী ইউনিয়নে।’ তিনি বলেন, ‘মাদক, সন্ত্রাস আর শয়তান-বজ্জাতে ভরে গেছে পিরোলী ইউনিয়ন। ইউনিয়নের জনগণ আমাকে নির্বাচিত করলে সন্ত্রাস, মাদক ও শয়তানের আখড়া ভেঙে দিয়ে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন এবং ডিজিটাল ইউনিয়ন গড়ে তোলার চেষ্টা করব।’
ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জারজিদ মোল্লা বলেন, ‘চেয়ারম্যান থাকাকালীন ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, কালভার্টসহ বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। একটি কুচক্রীমহল আমার পেছনে লেগে কাজ বাধাগ্রস্ত করেছে। ইউনিয়নের যতটুকু উন্নতি করেছি, আগামীতে নির্বাচিত হলে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ও বাসযোগ্য ইউনিয়ন গড়ে তুলব।’
সজিব মোল্লা বলেন, ‘আমি জেলা পরিষদ সদস্য ছিলাম। একজন মানুষ একটি পরিষদের সদস্য হিসেবে যেটুকু কাজ করা প্রয়োজন, আমি মনে করি, তার চেয়ে বেশি করেছি। ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে বাসযোগ্য ইউনিয়ন গড়ে তুলব। বর্তমান প্রজন্মকে আলোর পথ দেখাব।’