বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির মূল ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার (৯ মার্চ) বুয়েট ক্যাম্পাসে লিখিত আকারে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুই শিফটে পরীক্ষা চলে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।

প্রথম শিফটে প্রকৌশল বিভাগসমূহ ও নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মডিউল ‘এ’ এর পরীক্ষা হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এই শিফটে ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের জন্য গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় শিফটে প্রকৌশল বিভাগ সমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ ও স্থাপত্য বিভাগের মডিউল ‘বি’ এর পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এই শিফটে ‘খ’ গ্রুপের মুক্তহন্ত অঙ্কন এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা প্রাক-নির্বাচনি ও মূল ভর্তি পরীক্ষা এ দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। বাছাইকৃত আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫ হাজার ৪৪৩ জন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের প্রথম থেকে তিন হাজার তম পর্যন্ত দুই শিফটে (মডিউল-এ ও মডিউল-বি) মোট ছয় হাজার ৭৪ জন শিক্ষার্থী মূল ভর্তি পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে ছেলে চার হাজার ৮১৫ জন এবং মেয়ে এক হাজার ২৫৯ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছয় হাজার ৩৯ জন মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

কেমিকেল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস কৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদসমূহের অধীনে ১৩টি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠিভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট তিনটি ও স্থাপত্য বিভাগের জন্য একটি সংরক্ষিত আসনসহ মোট এক হাজার ৩০৯ টি আসনে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

চূড়ান্ত ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমানদের তালিকা আগামী ৩১ মার্চ প্রকাশিত হবে।

বুয়েটের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভর্তি কমিটির সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জীবন পোদ্দার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা।