বাকৃবিতে বিএসভিইআরের ৩০তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘স্মার্ট ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড ওয়ান হেলথ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি অ্যাডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (বিএসভিইআর) ৩০তম এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
বিএসভিইআরের সভাপতি ও বাকৃবির সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম, প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) সিনিয়র বিশেষজ্ঞ নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা, ইন্টারএগ্রোভেট বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ. কে. এম খসরুজ্জামান।
বার্ষিক এ সম্মেলনে চলতি বছর ‘বার্ষিক লেকচার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন সার্জারি ও অবস্টেট্রিকস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম।
সম্মেলনে অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম বলেন, ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের আরও দক্ষ হতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে না পারলে আমাদের গ্রাজুয়েটরা আন্তর্জাতিক কর্মবাজারে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না। এ জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের বেসিক ডিজিটাল স্কিল, কমিউনিকেশন স্কিল, পারস্পরিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে হবে।
গোলাম শাহি আলম আরও বলেন, ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক বাড়ানো খুবই জরুরি। শিক্ষক যদি ছাত্রদের অনুপ্রেরণা না দিতে পারেন তাহলে এই ব্যর্থতার দায় শিক্ষকদেরই।
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, স্মার্ট কারিকুলাম, স্মার্ট গ্রাজুয়েট ও স্মার্ট খামারির মাধ্যমে দেশের কৃষির উন্নয়ন সম্ভব। বিএসভিইআর ভেটেরিনারি শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে কাজ করে। স্মার্ট ভেটেরিনারি তৈরিতে যুগোপযোগী কারিকুলামের আওতায় আনতে হবে। বর্তমান বিশ্ব উৎপাদনশীল কৃষি থেকে গুণগত কৃষির দিকে ঝুঁকছে। কৃষিতে চতুর্থ শিল্প বিল্পব আনতে প্রযুক্তি নির্ভর স্মাট কৃষির বিকল্প নেই।
দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশের ৪০০ জন ভেটেরিনারি গবেষক, শিক্ষাবিদ, মাঠপর্যায়ের ভেটেরিনারিয়ান, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নেন। একটি বার্ষিক বক্তৃতাসহ দুটি পূর্ণাঙ্গ বক্তৃতা, একটি মূল প্রবন্ধ, ৬৮টি মৌখিক গবেষণা প্রবন্ধ এবং ৭৮টি পোস্টার সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়।