রাবিতে শিবিরকর্মী সন্দেহে ২ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হল থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজিবুল হাসান সৈকত ও রাজশাহী কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুর রাজ্জাক। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের মির্জাপুর এলাকার জুঁই ছাত্রাবাসে থাকতেন।
শিবির পরিচালিত ‘বাঁশের কেল্লা’ পেজে লাইকসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে আটক দুজন ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সৈকত, রাজ্জাকসহ জুঁই ছাত্রাবাসের নয় শিক্ষার্থী হবিবুর রহমান হলের ডাইনিংয়ে খেয়ে বারান্দায় হাঁটছিলেন। তাঁদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন-অর-রশিদ অতিথি কক্ষে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় সৈকতের ফেসবুক ওয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং নগরীর মতিহার থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাত ১১টায় পুলিশ এসে তাঁদের আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অন্য সাতজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দুই শিবিরকর্মীর সঙ্গে থাকা ছাত্ররা জানান, সৈকত ও রাজ্জাক শিবির করেন তাঁরা জানতেন না। রাতে খাওয়ার কথা বলে তাঁদের ডেকে আনা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে রাবি ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু বলেন, ছাত্রলীগের হল সভাপতির সন্দেহ হওয়ায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই শিবিরকর্মীকে শনাক্ত করা হয়। তাঁরা শিবিরের ফেসবুক পেজ বাঁশের কেল্লার অনুসারী। এদের মধ্যে সৈকত বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়েছেন।
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আটক দুজনকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দোষী সাব্যস্ত হলে মামলা দিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।