প্রক্সি দিতে গিয়ে জাবি ছাত্রলীগ নেতা শ্রীঘরে
অন্যের হয়ে পরীক্ষায় অংশ (প্রক্সি) নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত দ্বীন মোহাম্মদ সোয়েব মাহমুদ জাবি শাখা ছাত্রলীগের উপপাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত সপ্তাহে কেরানীগঞ্জে অন্যের হয়ে একটি পরীক্ষায় অংশ নেন জাবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের ছাত্র দ্বীন মোহাম্মদ সোয়েব মাহমুদ। এ সময় পরীক্ষার পরিদর্শক তাঁকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করেন। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে পুলিশে তুলে দেন। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
অভিযুক্ত দ্বীন মোহাম্মদ সোয়েব জাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনির অনুসারী।
এদিকে আটকের বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল সোমবার অভিযুক্ত দ্বীন মোহাম্মদ সোয়েবকে জেলখানায় দেখতে যান শাখা ছাত্রলীগের উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক জুয়েল রানা, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিনহাজ, সহসম্পাদক তানভীর হাসান খান ও তারেক মুহাম্মদ জুবায়ের এবং আ ফ ম কামালউদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভূইয়া এনামুল হাসান নোলক।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। যদি ঘটনা সত্য হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনিকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। যদি এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে এবং সে চলমান ছাত্র হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।’