রেজাউল হত্যা : পুলিশের দাবি অগ্রগতির, হতাশ সহকর্মীরা
অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের ৯০ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ, শনিবার। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়ার কোনো স্পষ্টতা দেখতে পাচ্ছেন না বলে ওই বিভাগের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ।
তবে পুলিশের দাবি, এ মামলার যথেষ্ট অগ্রগতি আছে।
রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আজ শনিবার বেলা ১১টায় শহীদুল্লাহ্ কলাভবনের সামনে থেকে র্যালি বের করে ইংরেজি বিভাগ। র্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুকুল মঞ্চে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় ইংরেজি বিভাগের মো. জহুরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ তারিক-উল-ইসলামসহ তিন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম মাসউদ আখতার অভিযোগ করে বলেন, ‘অধ্যাপক সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের তিন মাস পার হলেও বিচার তো দূরের কথা, এই বিচার প্রক্রিয়ারই স্পষ্ট কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’
এসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে মাসউদ আখতার আরো বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত আমরা এ ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার না পাব, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
রাবি শিক্ষকদের এমন অভিযোগের ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক বলেন, ‘শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি এখন পরিষ্কার করা হয়নি। আর শিক্ষকরাও আমাদের কাছে ওইভাবে জানতে আসেননি। কিন্তু আমরা আমাদের কাজ ঠিকমতোই করছি।’
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউস সাদিক আরো বলেন, ‘রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ড মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। আরো বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এসব কাজ সম্পন্ন করেই আমরা অভিযোগপত্র দাখিল করব। তবে এ কাজটা সম্পন্ন করতে এখন একটু সময় লাগবে।’
গত ২৩ এপ্রিল নগরীর শালবাগান এলাকায় বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।