অর্ণবের সঙ্গে মাতল জাহাঙ্গীরনগর

বুধবার রাত সোয়া ৯টা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। চারপাশে বাহারি রঙের ঝলক। এমনই এক পরিবেশে দলবল নিয়ে মঞ্চে উঠে এলেন সায়ান চৌধুরী অর্ণব। এর পরের প্রায় দুই ঘণ্টা অর্ণবের সঙ্গে মেতে উঠেছিল গোটা জাহাঙ্গীরনগর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মাতিয়ে গেলেন অর্ণব, গাইলেন তাঁর জনপ্রিয় সব গান। এদিন যেন গান গাওয়ায় কোনো বাঁধাধরা নিয়ম ছিল না। তাই একে একে ১৭টি গান গাইলেন অর্ণব। এমন দৃশ্য তো সচরাচর অন্যান্য কনসার্টে দেখা যায় না। বর্ষপূর্তি উদযাপনে এ অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল এনটিভিবিডি ডটকম।
‘লেটস ড্রিম এ ড্রিম টুগেদার’ স্লোগান নিয়ে গত ২৩ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ৪১তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন উৎসব। গতকাল বুধবার ছিল উৎসবের শেষ দিন। এদিন রাতে কনসার্ট শুরুর আগমুহূর্তে সমাপনী বক্তব্য রাখেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ‘ড্যান কেক’-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ নাজমুস সাকিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মেহেদী ইকবাল এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেল।
এর পরপরই মঞ্চে আসেন অর্ণব। ততক্ষণে উপচে পড়া দর্শকের ভিড় মুক্তমঞ্চের সীমানা ছাড়িয়ে বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বসার জায়গা তো আগেই দখল হয়ে গেছে, বাকি অধিকাংশ দর্শককেই দাঁড়িয়ে এবং ব্যাপক ভিড়ের মাঝে খানিকটা ফাঁক গলিয়ে মঞ্চে চোখ রাখতে হয়েছে।
অগ্রহায়ণের রাত যতই ‘বুড়ো’ হচ্ছিল, সে সঙ্গে শীতের আগমনী বার্তাও যেন ভালোভাবেই জানান দিতে শুরু করল। তবে সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার ফুরসত কই সবার! যেন সুরের জাদুতেই ‘উষ্ণতা’ খুঁজতে মনোযোগী সবাই।
‘হোক কলরব’ গানটি গাওয়ার আগে দর্শকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন এ গানের ‘স্রষ্টা’ রাজীব আশরাফকে। মনে করিয়ে দিলেন যে, গানটির শিরোনামের এই শব্দযুগল হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদের ভাষা।
একের পর এক গান গেয়ে একপর্যায়ে বিদায় নিতে চাইলেও সম্ভব হয়নি। দর্শক-শ্রোতা যে নাছোড়বান্দা! অনুরোধ রাখতে গিয়ে গাইলেন আরো কয়েকটি গান। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় দুই ঘণ্টা মঞ্চে থেকে উপস্থিত দর্শকের কাছ থেকে বিদায় নিলেন অর্ণব।
এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন। সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শাহ আলম সাজু পুলক এবং কোষাধ্যক্ষ ইফফাত জাহান খান নোভা।