রাবিতে মৃণাল সেনের জন্মদিন উদযাপন
চলচ্চিত্র প্রদশর্নী ও আলোচনার মাধ্যমে খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের জন্মদিন উদযাপন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ। গতকাল রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবনে সংসদের কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও মৃণাল সেন নির্মিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘আমার ভুবন’ প্রদর্শনীর মাধ্যমে যশস্বী এই চলচ্চিত্রকারের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
গতকাল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেন ৯৫ বছরে পড়লেন। বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটকের পরই মৃণাল সেনকে অগ্রগণ্য চলচ্চিত্রকার হিসেবে ধরা হয়। তাঁর চলচ্চিত্রের ভাষা, নির্মাণ ও বক্তব্য প্রকাশের টেকনিক বাংলা চলচ্চিত্রে অন্য মাত্রা যোগ করে।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান এই চলচ্চিত্রকার ১৯২৩ সালের এই দিনে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মৃণাল সেন ১৯৪৩ সালে সপরিবারে কলকাতায় পাড়ি জমান। সত্যজিতের সমকালে চলচ্চিত্র নির্মাণকাজ শুরু করে ভুবনসোম, মৃগয়া, আকালের সন্ধানে, ইন্টারভিউ, কলকাতা ’৭১, পদাতিক, আমার ভুবন প্রভৃতি কালজয়ী চলচ্চিত্রের জন্ম দেন এই স্রষ্টা। চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হন।
মৃণাল সেনের জন্মদিনকে সামনে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তারা তাঁর জীবন ও চলচ্চিত্রকর্মের নানা দিক তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁর চলচ্চিত্রের ভাষা, কাঠামো ও নান্দনিকতা নিয়ে কথা বলেন। সময়ের বেড়া ডিঙিয়ে মৃণাল সেনের চলচ্চিত্র কীভাবে কালজয়ী হয়ে উঠেছে সে বিষয়েও বক্তারা আলোকপাত করেন। এর আগে মৃণাল সেনের জীবন ও চলচ্চিত্রকর্ম নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন এই চলচ্চিত্র সংসদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও রাবির আইন বিভাগের ছাত্র আল শাহরিয়ার সুমন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. সাজ্জাদ বকুলের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য দেন ঋত্বিক ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি, রাজশাহীর সভাপতি ডা. এফ এম এ জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন মাসুদ, রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আহসান কবীর লিটন এবং বরেন্দ্র চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি সুলতানুল ইসলাম টিপু। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাবীদ অপু।
অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র সংসদের নিয়মিত কর্মীরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।