বৌদ্ধ দর্শনের আলোকে দারিদ্র্য বিমোচন বিষয়ে ঢাবিতে সেমিনার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
‘বৌদ্ধ দর্শনের আলোকে দারিদ্র্য বিমোচন’ শিরোনামে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আনিসুজ্জামান। আগামী ১০ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. নেহাল করিম। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ও পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের সুকমল বড়ুয়া।
মূল প্রবন্ধে রাবির দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আনিসুজ্জামান বলেন, সম্পদের অসম বণ্টনের কারণে পৃথিবীর আট ব্যক্তির হাতে অর্ধেক মানুষের সম্পদ। শ্রমজীবী মানুষেরা কোনো রকমে বেঁচে আছেন। আর মুনাফা লোভি ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাবানদের হাতে বাড়তি সম্পদ জমা হচ্ছে। যা একবিংশ শতাব্দিতে তথ্য-প্রযুক্তির চরম উন্নতিরর যুগে শ্রমদাসেরা 'সুখি শুকরের' মত বেঁচে আছে।
মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুক্তির জন্য কল্যাণমুখি অর্থনীতির সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার সংযোগ অপরিহার্য। বস্তুগত ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয়ে দারিদ্র্য মুক্ত একটি সুখি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সমাজকে জ্ঞানের সাথে না মেলালে জঙ্গিবাদের প্রসার ঘটবে। তাই সবাইকে জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে হবে। তাহলে এর মাধ্যমে সমাজ, দেশ, এমনকি সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান বিমান চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মূল কথা হচ্ছে মানবতা, প্রেম ও সমাজকে নিয়ে চলার প্রেরণা। অশান্ত সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ধর্মের সঙ্গে মানবিক গুণাবলি প্রচার করতে হবে।