প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ব্যবহার করলে শাস্তি পেতে হয়
বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, কোনো কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীদের শাস্তি পেতে হয়। জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় বাংলায় অনুবাদের ওপর জোর দেন তিনি।
গতকাল রোববার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে এসব কথা বলেন সলিমুল্লাহ।
‘বাংলার দর্শনের স্বরূপ ও শেকড়ের খোঁজে’ শিরোনামে ওই কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সলিমুল্লাহ খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় ‘ঊনবিংশ শতকের বাংলা চিন্তাধারা’ শীর্ষক প্রবন্ধ পড়েন তিনি।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ বলেন, ‘আমি দেখেছি, দেশের কোনো কোনো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা বাংলা ব্যবহার করলে তাঁদের শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়। জ্ঞানচর্চার জন্য মাতৃভাষাই সর্বোত্তম। এতে মেধা ও মননের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে। কিন্তু আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ইংরেজি ভাষা চর্চার যে আধিক্য, তা আশঙ্কার বিষয়।’
সলিমুল্লাহ খান আরো বলেন, ‘ইংরেজিসহ অন্যান্য ভাষায় রচিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল্যবান বিষয়কে আমাদের মাতৃভাষায় রূপান্তরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। মাতৃভাষায় শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে বাংলা ও ইংরেজির মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে হবে। নইলে আমাদের বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ সাধিত হবে না।’
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল খায়ের, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, ভারতের সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক দিলীপ কুমার মোহান্ত, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক অঞ্জন সেন ও জাবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
গতকাল দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে। আজ সোমবার কর্মশালার শেষ দিন।