শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সব একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, এই দুই বর্ষের শিক্ষার্থীরা টানা চতুর্থ দিনের মতো আজ মঙ্গলবারও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ৩৩ ক্রেডিট প্রথা বাতিল করতে হবে। কারণ ৩৩ ক্রেডিট না তুলতে পারলে পরের বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না। তাই আগের ক্যারি অন পদ্ধতিতে যেতে চান শিক্ষার্থীরা। এ পদ্ধতিতে ব্যাক ফ্লপ বা দুই-এক বিষয়ে ফেল থাকলেও পরবর্তী বর্ষে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকে। সেই সঙ্গে আগের ফেল করা বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাস করার সুযোগ থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় বর্ষ বিজোড় (২০১৫ সিরিজ) এবং দ্বিতীয় বর্ষ জোড় (২০১৪ সিরিজ) সেমিস্টারের সব একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। একাডেমিক কাউন্সিলের ৮৬তম জরুরি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে এ অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।’ তবে অন্যান্য বর্ষের সব সিরিজের যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. রফিকুল আলম বেগ।

ক্রেডিট প্রথা বাতিলের দাবিতে গত শনিবার থেকে রুয়েটের ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন।