৩১ দেশের শতাধিক গবেষকের অংশগ্রহণে গ্রিন ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ডিজিটাল বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পেতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। পারস্পারিক সহযোগিতা বজায় রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলেই নতুন এ বিপ্লবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’ শীর্ষক তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী এ সম্মেলনে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, জাপান ও ফ্রান্সসহ বিশ্বের ৩১টি দেশের শতাধিক গবেষক ও অধ্যাপক অংশ নেন।
গতকাল শনিবার সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, আইইইই ফেলো ও যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র অধ্যাপক সজল কে দাস ও সম্মেলনের অর্গানাইজিং চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ।
সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষিত ও তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগাতে হবে। তাদেরকে প্রযুক্তিগত জ্ঞানদানের পাশাপাশি বৈশ্বিক মানদণ্ডে গড়ে তুললেই এই বিপ্লবের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তরুণদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে আইসিটি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির। সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন আকাশচুম্বী। তারপরও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অনেক সম্ভাবনাময় অর্জন বাকি। টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।’
সম্মেলনকে শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইন্ড্রাস্ট্রি পার্সন ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির মাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করেন অরগানাইজিং চেয়ার এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা মতিউর তানিফের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।