সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণসহ চার দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন করেছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে রাজশাহীর বিভাগীয় আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধন থেকে সকল চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি, নিয়োগ দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ, নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলি ও রিটেন) প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ ও আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করাসহ একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থার দাবি জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বেকারত্ব, পরিবারের চাপ ও আর্থিক কষ্ট নিয়ে আমাদের অনেকেই আত্মহত্যা করছে। পড়াশোনা শেষে সবারই স্বপ্ন থাকে একটা ভালো চাকরি পাওয়া৷ কিন্তু কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির মাধ্যমে যদি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়ে যায়, তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবো ।’

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের আশপাশের প্রায় ৪০টি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪০ বছর বা তারও ঊর্ধ্বে আছে। অথচ বাংলাদেশে এ নীতি কখনো অনুসরণ করা হয় না। স্বজনপ্রীতি থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা দ্বিতীয় ধাক্কার পর গেলো বছরের মে মাসে এক প্রার্থীর একই দিনে ১০টি পরীক্ষা ছিল। ১০টি পরীক্ষার জন্য ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে আবেদন করলেও তিনি পরীক্ষা দিতে পেরেছেন একটিতে। এটি মেনে দেওয়া যায় না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে চাকরির পরীক্ষা নিতে হবে।’

অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর দাবি বহুদিনের। আমরা শিক্ষার্থী। বিষয়টি অনুধাবন করে ১০০ টাকা করা উচিৎ। এটা আমাদের দাবি।’

মানববন্ধনে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় রাজশাহী বিভাগের অর্ধশতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী উপস্থিত ছিলেন।