রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বিশেষ মর্যাদা’র প্রত্যাশা ঢাবি পরিবারের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বিশেষ মর্যাদা’ পাওয়ার প্রত্যাশা করে। বিভিন্ন দেশের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো ঢাবিও এই আশা রাখে, যেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিতে চেয়েছিলেন।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপাচার্য। অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এজন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু এই বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল তিনি তাও বাস্তবায়ন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হবে বলেও ঘোষণা দেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শতবর্ষপূতি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপকল্প তুলে ধরে বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে ঢাকায় আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে একটি করে মোট ছয়টি বিষয়ভিত্তিক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া, লন্ডনে আগামী ১২ থেকে ১৪ জুলাই একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এসব ভার্চুয়াল সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত আমাদের স্বনামধন্য অ্যালামনাইবৃন্দ শতাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এতে পৃথিবীর দুই শতাধিক খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও রেক্টররা সংযুক্ত থাকবেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগামী ১ জুলাই বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামীকাল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট https://du.ac.bd এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের ফেসবুক পেজ facebook.com/ICTCellDU-এ সরাসারি সম্প্রচার করা হবে।