অসদাচরণের কারণে ববির ইস্যুক্লার্ক বরখাস্ত
মহিলা কলেজের ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার আসামি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির ইস্যুক্লার্ক মো. বনী আমিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. মুহসিন উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ইস্যুক্লার্কের দায়িত্ব পালন করেন মো. বনী আমিন। তিনি গত ৯ ফেব্রুয়ারি শহরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে একজন নারীকে অপহরণ করেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এই অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই অভিযোগে মো. বনী আমিনকে ববির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির ইস্যুক্লার্কের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িক বরখাস্তকালে বনি আমিন বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন। পাশাপাশি এই অফিস আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার জন্যও বলা হয়েছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে স্থানীয় কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যুক্লার্ক বনি আমিন। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে ভিকটিমের মা বন্দর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। পুলিশ অভিযানে নেমে ভিকটিমকে উদ্ধার করলেও বনি আমিন পালিয়ে যান। উদ্ধারের পর ভিকটিম ধর্ষণের অভিযোগ তুললে তাঁকে গতকাল মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর পরই বনি আমিনকে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক।