জাবির পাখি মেলা ২৪ জানুয়ারি
‘পাখপাখালি দেশের রত্ন, আসুন সবাই করি যত্ন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০তম ‘পাখি মেলা’। পাখি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও পাখি সংরক্ষণের প্রয়োজনীতা তুলে ধরতে আগামী ২৪ জানুয়ারি (শুক্রবার) আয়োজিত হবে এই মেলা।
পাখি মেলার আহ্বায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। মেলার আয়োজক হিসেবে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পাখি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের এ আয়োজন। এরমধ্যে মেলার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম মেলার উদ্বোধন করবেন।’
দিনব্যাপী এ মেলায় থাকছে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্কুল পর্যায়ের শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখির আলোকচিত্র ও পত্র-পত্রিকা দিয়ে স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী, পাখি চেনা প্রতিযোগিতা ও পাখিবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা।
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি দল অংশগ্রহণ করবে। প্রতিটি দলে চারজন করে ছাত্রছাত্রী থাকবে এবং দলের সঙ্গে একজন করে বিচারক দেওয়া হবে।
জাবি ক্যাম্পাসে নির্ধারিত একঘণ্টা হেঁটে পাখি দেখে বা পাখির ডাক শুনে নাম লিখতে হবে। অংশগ্রহণকারীদের নাম মেলার আগে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে অথবা মেলার দিন প্রতিযোগিতা শুরুর আগে জহির রায়হান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে।
এ ছাড়া সংবাদমাধ্যমে বিগত এক বছরে প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে পাখি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অবদান রাখায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার তিনজন সংবাদকর্মীকে ‘কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ এবং বিগত এক বছরে বাংলাদেশের পাখির ওপর সায়েন্টিফিক জার্নাল, প্রকাশিত প্রবন্ধ পর্যালোচনা করে একজনকে ‘সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে বলে জানান আয়োজকরা।
এবারের পাখি মেলার সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ সেন্টার, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এবং বাংলাদেশ বন বিভাগ।
জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ২০০১ সাল থেকে পাখি মেলার আয়োজন করে আসছে।