বদলগাছীতে ডাকাতি, নগদ অর্থ ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট

নওগাঁর বদলগাছীতে একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রধারী ডাকাতরা আলমারি ও শোকেস ভেঙে নগদ ১৫ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি মোবাইলফোনসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
উপজেলার দেউলিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে পলাশ চন্দ্রের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ৮–১০ জনের একটি ডাকাতদল ওই বাড়ির প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা ঘরে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতির সময় পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করতে চাইলে তাদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখানো হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান পলাশ চন্দ্র বলেন, “আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। কয়েকজন ব্যক্তি আমার দরজার কাছে এসে পুলিশের লোক থানা থেকে এসেছি বলে ডাকছে। দরজা খুলে বারান্দায় পা দিতেই, তারা আমাকে ধারালো হাসুয়া গলায় ধরে হাত পা বেঁধে ফেলে। এরপর আমার স্ত্রী ও ছেলেকে অস্ত্র ধরে জিম্মি করে ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ৪ ভরি সোনা এবং একটি মোবাইলফোন নিয়ে নেয়।
এরপর ডাকাতরা আমার স্ত্রীকে দিয়ে ছোট ভাই ও তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। তারা ঘরের দরজা খুলতেই তাদেরকে একইভাবে অস্ত্র ধরে জিম্মি করে তাদের ঘরের শোকেস ভেঙে ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার সহ দুই ভাইয়ের মোট ১০ ভরি সোনা তারা লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী একই পরিবারের (ছোট ভাই) পবিত্র বলেন, “কয়েক মাস আগে আমি বিয়ে করেছি। এসব স্বর্ণালঙ্কার আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে উপহার পেয়েছিলাম। একেবারে আমি নিঃশেষ হয়ে গেলাম।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের বেলায় পর্যাপ্ত টহল না থাকায় এসব ঘটনা ঘটছে।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আজ সকালে পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ডাকাতদের শনাক্ত করতে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।
পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “ডাকাত দল তারা দেওয়াল টপকে বাড়িতে ঢুকে তারা ডাকাতি করেছে। মামলা হবে, তদন্ত হবে ডাকাত ধরার জন্য আমরা অলরেডি অপারেশন শুরু করেছি। কাজ চলমান আছে।”
এদিকে ডাকাতির ঘটনায় গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত ডাকাতদলকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।