১৮ দিনে বেনাপোলে ২৪৮৫ মেট্রিক টন ভারতীয় চাল আমদানি

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এ বছরের ২১ আগস্ট থেকে গতকাল সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা পর্যন্ত ১৮ দিনে ৭১টি ট্রাকে দুই হাজার ৪৮৫ মেট্রিক টন চাল দেশে এসেছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, আমদানি অব্যাহত থাকলেও দেশের বাজারে চালের দামে কোনো প্রভাব পড়ছে না।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাজী মুছা করিম অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে চাল আসা শুরু হওয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে কিছুটা দাম কমেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজারে চালের দাম আরও কমে আসবে। এ বিষয়ে সরকারের প্রতি চাল আমদানি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে, ক্রেতা দিনমজুর জামাল মিয়া অভিযোগ করেন, চাল আমদানি হলেও খুচরা বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আমরা নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে পারলেও চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহে ভারত থেকে ৭১ ট্রাকে মোট দুই হাজার ৪৮৫ মেট্রিক টন চাল এসেছে। এর মধ্যে ২১ আগস্ট ৯ ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন, ২৪ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ মেট্রিক টন, ২৭ আগস্ট দুটি চালানে ১২ ট্রাকে ৪২০ মেট্রিক টন, ২৮ আগস্ট ৩ ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন, ৩১ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ মেট্রিক টন, ১ সেপ্টেম্বর ১২ ট্রাকে ৪২০ মেট্রিক টন, ২ সেপ্টেম্বর ১৪ ট্রাকে ৪৯০ মেট্রিক টন, ৩ সেপ্টেম্বর ৩ ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন ও ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত ৬ ট্রাকে ২১০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরের ৩১নং ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে।
এসব চালের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো—মেসার্স উষা ট্রেডিং, মেসার্স মৌসুমী ট্রেডার্স, মেসার্স হাজী মুছা করিম অ্যান্ড সন্স, মেসার্স প্রিয়ম এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স গণী এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল বন্দরের ডিরেক্টর শামীম হোসেন জানান, আমদানি চালের চালানগুলো দ্রুত খালাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ এ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছিল।